Shruti Das: মায়ের বিয়েতে পাননি নিমন্ত্রণ, মনের কোণে অভিমান জমল ‘দেশের মাটি’-এর নোয়ার
সদ্য বিয়ে হয়েছে অনিন্দিতা রায়চৌধুরী (Anindita Roychowdhury) ও সুদীপ সরকার (Sudip Sarkar)-এর। তার মাঝেই কোথাও জমেছে অভিমানের কালো মেঘ। মায়ের বিয়ে তো দুরস্থান, প্রেমের কথাও জানতে পারেননি মেয়ে। হলেই বা পর্দার, কিন্তু সম্পর্ক ও ভালোবাসা ছিল প্রকৃত মা-মেয়ের মতোই। অনেকগুলি মাস ধরে স্টার জলসায় সম্প্রচারিত ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকে ‘নোয়া’ শ্রুতি দাস (Shruti Das)-এর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছিলেন অনিন্দিতা। সিরিয়াল শেষ হয়ে গেলেও মা-মেয়ের সম্পর্ক বজায় ছিল। কিন্তু সেই মায়ের বিয়েতে কোথাও দেখা যায়নি শ্রুতিকে।
View this post on Instagram
উপরন্তু শ্রুতি ফেসবুকে রীতিমত পোস্ট দিয়ে তাঁর আঘাত পাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। অথচ এই নেটদুনিয়ায় শ্রুতি যখন কটাক্ষের শিকার হতেন, তাঁর সমর্থনে প্রতিবাদ করতে দেখা যেত অনিন্দিতাকে। শ্রুতির আবদারে শীত পড়তেই খাইয়েছেন জয়নগরের মোয়া। অপরদিকে তিনি মা-বাবার থেকে দূরে থাকেন বলে জন্মদিনে শ্রুতি পায়েস রেঁধে নিজের হাতে খাইয়েছেন অনিন্দিতাকে। কিন্তু বিয়ের আগে অনিন্দিতাকে সেই শ্রুতিই আইবুড়োভাত খাওয়াননি। কারণ অনিন্দিতার বিয়ে।
অনিন্দিতা ও সুদীপ পাঁচ মাসের সম্পর্ককে পরিণতি দিতে হঠাৎই বিয়ে করেছেন। সেই বিয়েতে দুইজনের পরিবার ও ঘনিষ্ঠ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। সবাই একটু অবাক হয়েছিলেন সেই ঘনিষ্ঠদের তালিকায় শ্রুতিকে না দেখে। অবাক হয়েছিলেন শ্রুতি নিজেও। অনিন্দিতার বিয়ের কথা বাইরের লোকের কাছে জানার পর তিনি নিজের অভিমান প্রকাশ করে মেসেজ করেছিলেন অনিন্দিতাকে। কিন্তু তার উত্তরে অনিন্দিতা শ্রুতিকে শুধুমাত্র একটি ছোট ‘ধন্যবাদ’ দিয়েছেন। শ্রুতির মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো বেশি আশা করে ফেলেছিলেন। এখনও তিনি অনিন্দিতাকে আগের মতোই ভালোবাসেন। তবে দূরত্বটা আর মনে হয় কোনোদিন পূরণ হবে না। অথচ শ্রুতিকে না বললেও মানালি (Manali), ঈশানী (Ishani), আভেরি (Averi)-কে তাঁর বিয়েতে নিমন্ত্রণ করেছিলেন অনিন্দিতা। এরপরেই শ্রুতির মনে হয়েছে, অনিন্দিতাই একসময় তাঁকে বলেছিলেন, শিল্পী মহলে কেউ কারও বন্ধু হয় না। ফলে তিনি বারণ করেছিলেন শ্রুতিকে, কাউকে সহজে বিশ্বাস করতে।
তাহলে কি অনিন্দিতাই নিজেই নিজের কথার প্রমাণ দিলেন? অনিন্দিতার দাবি, করোনা বিধি মেনে বিয়ে হওয়ার ফলে তিনি নিমন্ত্রণ করতে পারেননি শ্রুতিকে। অনিন্দিতা বলেছেন, তাঁদের আইনি বিয়ের সময় তাঁদের মা-বাবারা মাস্ক পরে কাগজে সই করার পর তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। আনুষ্ঠানিক বিয়ের সময় তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন না। অনিন্দিতা ও সুদীপ ঠিক করেছেন, তাঁরা কিছুদিনের মধ্যেই তাঁদের বিয়ে উপলক্ষ্যে পার্টির আয়োজন করবেন। সেখানে অবশ্যই শ্রুতিকে দেখা যাবে বলে দাবি করেছেন অনিন্দিতা। কিন্তু মানালি, ঈশানী, আভেরির মতো শ্রুতি তো অনিন্দিতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাহলে করোনা বিধির অজুহাতে তাঁকে কেন ডাকা হল না অনিন্দিতার বিয়েতে? কোনো কুসংস্কার? নাকি অন্য কোনো কারণ? আশা করা যায়, শ্রুতিকে নিমন্ত্রণ করলে নিশ্চয়ই তিনি উপস্থিত হয়ে করোনা ছড়াতেন না!
View this post on Instagram
এই দুঃসময়েও শ্রুতি পাশে পেয়েছেন স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার (Swarnendu Samaddar) ও রুকমা রায় (Rooqma Ray)-কে। প্রকৃতপক্ষে এগুলিই আসল সম্পর্ক যা কষ্টকর মুহূর্তে নিজের উপস্থিতির জানান দেয়। একটা সম্পর্ককে লালন করেছিলেন শ্রুতি, অনেক বিশ্বাস ও ভালোবাসা দিয়ে। সেই সম্পর্কের পরিণতি অজানা হলেও শ্রুতির পাশে আজ দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর প্রকৃত ভালোবাসারা।
View this post on Instagram