whatsapp channel
BollywoodHoop Plus

Madhubala: পায়ের পাতা দেখে বিক্রেতা চিনতে পেরেছিলেন মধুবালাকে

‘মধুবালা’(Madhubala), এখনও অবধি সিনেমার ইতিহাসে তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ সুন্দরী। মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) যখন বলিউডে প্রথম এলেন, তখন অনেকেই তাঁর সৌন্দর্যের সঙ্গে মধুবালার তুলনা করেছিলেন। কিন্তু মধুবালার সৌন্দর্য কালজয়ী। মধুবালার সৌন্দর্য ছিল তাঁর অনুরাগীদের নখদর্পণে। তাঁর বোন মধুর ভূষণ (Madhur Bhushan)-এর এক সাক্ষাৎকার এই ঘটনার সাক্ষ্য বহন করে।

সেইসময় মধুবালা রীতিমত নামী নায়িকা। একদিন বোনদের নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে ফিল্ম দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুপারস্টার মধুবালা সাধারণ ভাবে যেতে পারতেন না। কারণ জানাজানি হয়ে গেলে ‘মবড’ হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। ফলে বোরখা পরে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে নির্দিষ্ট আসনে বসেছিলেন মধুবালা। ইন্টারমিশনের সময় স্ন‍্যাক্স বিক্রি হচ্ছিল প্রেক্ষাগৃহের মধ্যেই। মধুবালা ও তাঁর বোনেরা কিছু স্ন‍্যাক্স কিনলেও তাঁদের কাছে কোনো বিক্রেতা দাম নিতে চাইছিলেন না। শেষ পর্যন্ত মধুবালার বোনরা এক বিক্রেতাকে চেপে ধরে জানতে চান, কেন তাঁরা দাম নিচ্ছেন না। সেই বিক্রেতা খোলসা করলেন প্রকৃত ঘটনা।

সেই বিক্রেতা বলেছিলেন, তাঁদের সঙ্গে স্বয়ং মধুবালা আছেন। ফলে খাবারের দাম নেওয়া যাবে না। মধুর বলেন, মধুবালা কোথায়, ওই ব্যক্তির নিশ্চয়ই কোনো ভুল হচ্ছে। বিক্রেতা বলেন, তাঁদের কোনও ভুল হচ্ছে না। কারণ তাঁরা বোরখা পরিহিত মহিলার পায়ের পাতা দেখে চিনতে পেরেছেন, তিনিই মধুবালা। কারণ অত সুন্দর পা আর কারও হতে পারে না। মধুবালা চমকে ছিলেন কিনা জানা যায়নি, তবে তাঁর বোনরা রীতিমত চমকে গিয়েছিলেন।

নায়িকা হতে চাননি মধুবালা। তাঁর বাবা জোর করে অর্থ রোজগারের জন্য অত্যন্ত শিশু বয়সেই মধুবালাকে অভিনয় জগতে আসতে বাধ্য করেন। বাবার অর্থলোভের কারণে দিলীপ কুমার (Dilip Kumar)-এর জীবন থেকে সরে গিয়েছিলেন মধুবালা। তবুও অত্যন্ত প্রফেশনাল হয়ে শেষ করেছিলেন ‘মুঘল-ই-আজম’ ফিল্মের শুটিং। আজও আইকনিক হয়ে রয়ে গেছে তা। ‘আনারকলি’ মধুবালা গেঁথে রয়েছেন সকলের মনে।

whatsapp logo