Sandhya-Arijit: অরিজিৎ সিংয়ের গান কি পছন্দ ছিল সন্ধ্যা দেবীর!
‘বাতাসের সুরে, শুনেছি বাঁশি তাঁর’- বেজে উঠল গিটার। বাতাসে মিশে গেল অরিজিৎ সিং-এর অপূর্ব স্বর। গানের মাঝে হালকা কম্পন শোনা যাচ্ছিল। অরিজিৎ বলে বসলেন, “আমি কিন্তু ভয় পাচ্ছি”। সালটা ২০১৮। সংগীত মেলা চলছিল বাংলায়। মঞ্চে উপস্থিত হৈমন্তী শুক্লা, ইন্দ্রনীল সেন, লোপামুদ্রা মিত্র, রূপঙ্কর বাগচী, জোজো, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, শ্রাবনী সেন, দেবজ্যোতি মিশ্র, মনোময় ভট্টাচার্য-এঁর মতো হাজারো গুণীজন। তাঁদের মাঝে মধ্যমণি গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়।
স্বাভাবিকই কিংবদন্তি গায়িকার সামনে তাঁর গান গাইতে নার্ভাস হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক ছিল অরিজিৎ সিং-এঁর জন্য। বলা বাহুল্য, একের পর এক গানকে জাদুর মতো মুগ্ধতায় ভরিয়ে দেওয়া কিংবদন্তি গায়ক অরিজিৎও তাঁর সামনে ফিকে পড়ে যাচ্ছিলেন। এমনটাই চোখে পড়ল শোকাকুল নেটিজনদের। গতকাল তিনি ট্যুইট করেছেন সেই অমূল্য ভিডিও। এক মন শোক নিয়ে লিখেছেন, “বিনম্র শ্রদ্ধা গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে। সারা বাংলা তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ। সংগীত মহলের আকাশ থেকে আবারও তারা খোসে পড়ল”।
A humble tribute to the late Geetashree Sandhya Mukherjee. The whole of Bengal is in mourning at the end of his life. Stars fall again in the world of music.#SandhyaMukherjee pic.twitter.com/RRBDJ6bsJr
— Arijit Singh (@TrollASHaters) February 15, 2022
২০১৮ সালের ওই সংগীত মেলায় রাজ্য সরকারের সম্বর্ধনা মঞ্চে উঠেই হতচকিত হয়ে গিয়েছিলেন অরিজিৎ। বলেই ফেলেছিলেন, “বুঝে ওঠা দায়, কি হতে চলে চলেছে”। ১০ সেকেন্ডের জন্য নিশ্চুপ ছিলেন সুপারহিট গায়ক। এরপরেই গেয়ে উঠলেন, ‘ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা’। হাততালি দিয়ে উঠলেন অমায়িক মানুষটি। অরিজিতের গান শুরু হওয়ার পরক্ষণেই মঞ্চে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সন্ধ্যা দেবীকে ইশারা করে জানিয়েছিলেন যে তাঁরই গান ধরেছেন অরিজিৎ। ‘ওগো মায়া ভরা চাঁদ আর’ লাইনটি শেষ হতে না হতেই আবারও উচ্ছ্বসিত হয়ে উঠলেন সন্ধ্যা।
বলা বাহুল্য, বিশ্বাস করতে পারছিলেন না অরিজিৎ। নিজের অমর গানকে সন্ধ্যা দি অরিজিতের গলায় এতটা পছন্দ করে ফেলবেন। তালও মেলালেন তিনি। মুগ্ধ হয়ে শুনছিলেন সন্ধ্যা দেবী। শেষ হতে না হতেই আবারও হাততালি। সেই দিনটা ছিল অরিজিতের সংগীত জীবনের এক অমূল্য দিন। তাই তো গীতশ্রীর মহাপ্রয়াণের শোকে ওই ভিডিওটিই শেয়ার করে নিলেন নিজের অনুরাগীদের সাথে। গতকালই শেষ হয়ে গেল দীর্ঘ ১৯ দিনের লড়াই। হৃদরোগ কেড়ে নিল বঙ্গ বিভূষণ সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে।