বড় পর্দা কিংবা ছোট পর্দা, এযুগের অভিনেত্রীদের মধ্যে গোয়া যাওয়ার প্রবণতাটা বোধ হয় একটু বেশি।।কাজের ফাঁকে ছুটি উঁকি দিলেই প্রিয় জনকে সাথী করে পাড়ি জমিয়ে ফেলেন গোয়াতেই। এ প্রসঙ্গে দর্শকের প্রিয় গুনগুনেরও কিন্ত জুড়িটাই মেলা ভার। গতবছরই বিয়েটা সেরে প্রায় ছয় মাস পর হানিমুনের উদ্দেশ্যে স্বামী নীলের সাথে উড়ে গিয়েছিলেন গোয়ায়। হানিমুন ডায়েরি থেকে মাঝেমধ্যেই একটা দুটো ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ারও করেন তৃণা।
সম্প্রতি ওই ডায়েরিরই একটি ফটো শেয়ার করতে দেখা গেল তাঁকে। স্বাভাবিকই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেচেছে ধুম। পড়েছিলেন বেগুনি রঙের সামুদ্রিক জামা। উপরে হালকা গোলাপি জালি মিনি ফ্রকের সাথে স্টাইলটা বেশ অন্যরকম। চোখে সানগ্লাস। হাইলাইট করা এক মাথা ঘন চুল। আলাদাই নজারা দিচ্ছিল। রোদ মাখা গায়ে জলপরীর থেকে কিছু কম যান না। ক্যাপশনে লিখেছেন, “গরমকালটা যদি এইভাবেই কাটত।”
বোধ হয় মিস করেছেন স্বামীর সাথে সমুদ্র সৈকতে কাটানো প্রেমগুলোকে। এমনটাই ধারণা হয়েছে নেটিজেনদের। কেউ কেউ তো দুটো চারটে রিপ্লাইও চেয়ে বসেছিলেন। তৃণা অবশ্য ফিরিয়ে দেননি। হাসি মুখে লাভ ইমোজি দিয়ে ওঁদের মন ভুলিয়ে দিয়েছেন। ওদিকে তৃণার পরম বান্ধবী দিব্যান বেশ খুশি। যিনি আগের বছর তৃনীলের বেশিরভাগ ছবি তুলে দিয়েছিলেন। আরজি জানিয়েছেন, “আবার ফিরে যাই চল।” তৃণাও বেশ চট জলদি রাজি হয়ে গেলেন, “টিকিট রেডি করছি। শুধু আমরা যাবো চল।”
View this post on Instagram
প্রসঙ্গত, সৌগুনের গুনগুন ওরফে তৃণা অভিনয় জগতে কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই রয়েছেন।প্রধানত জলসাতেই দেখা মিলেছে মহারাণীর। ‘খোকাবাবু’ মেগায় তরির চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রধান অভিনেত্রী হিসেবে টেলিভিশনে তার কর্মজীবন শুরু করেন। অনেক বাংলা সিনেমার পার্শ্ব চরিত্র এবং টিভি সোপ অপেরাতেও অভিনয় করেছেন এর আগে। এমনকি নীল ভট্টাচার্য অভিনীত শানের গাওয়া একটি মিউজিক ভিডিওতেও দেখা মিলেছে অভিনেত্রীর।