চার বছর ধরে গা ঢাকা দিয়েছিলেন শাহরুখ খান (Shahrukh Khan)। ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জিরো’ ছবির ভরাডুবির পরেই অভিনয় থেকে স্বেচ্ছা বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। বক্স অফিসে অত্যন্ত খারাপ ফল করেছিল জিরো। নামের সার্থকতা প্রমাণ করে নামমাত্র টাকা তুলতে পেরেছিল ছবিটি। এক রকম ঘোষণাই করে দেওয়া হয়েছিল, শাহরুখের কেরিয়ার শেষ। সেখান থেকে তিনি যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন, তাঁর কামব্যাকের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে।
এক বছরে তিনটি ছবির ঘোষণা করেছিলেন শাহরুখ। প্রথমে পাঠান, তারপর জওয়ান এবং শেষে ডাঙ্কি। প্রথম ছবি পাঠান-ই ব্লকবাস্টার হিট। দ্বিতীয় ছবি ‘জওয়ান’ ছাপিয়ে গিয়েছে পাঠানকে। ট্রেলারে যে উন্মাদনা তৈরি করেছিল ছবিটি, প্রেক্ষাগৃহে দর্শকদের জন্য অপেক্ষা করছিল আরো বড় কিছু। ফিল্ম সমালোচক থেকে দর্শক প্রত্যেকেই দরাজ সার্টিফিকেট দিয়েছে জওয়ানকে। একই ছবিতে একাধিক লুক দিয়ে চমকে দিয়েছেন কিং খান। বিশেষ করে তাঁর ন্যাড়া মাথার লুকটি দেখে বড়সড় বিষম খেয়েছিলেন দর্শকরা। সবথেকে বেশি চর্চাও হয়েছে এই লুক নিয়ে। কিন্তু এই লুকের নেপথ্যে কোন ভাবনা কাজ করেছিল?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাহরুখ বলেন, ন্যাড়া মাথার লুকটা নাকি চিত্রনাট্যে ছিলই না। তিনি অলসতার কারণেই বেছে নিয়েছিলেন এই লুক। আসলে এক একটা লুক তৈরি করতে কয়েক ঘন্টা মেকআপ করতে হত শাহরুখকে। মেকআপের একটা ধাপ ছিল এই ন্যাড়া মাথার লুকটা। অভিনেতা একদিন প্রশ্ন করেছিলেন, তিনি দু ঘন্টা ধরে মেকআপ করতে পারবেন না। তার থেকে ন্যাড়া মাথা নিয়েই ক্যামেরায় ধরা দিলে কেমন হয়?
তবে বড় ঝুঁকিও নিয়েছিলেন শাহরুখ। তিনি জানান, নিজের যে যে বন্ধুদের লুকটা দেখিয়েছিলেন তিনি, সকলেই এক কথায় বলেছিল, কাজটা খুব ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা চমকে যাবে, শাহরুখকে পছন্দ না-ও করতে পারে। তবুও চ্যালেঞ্জটা নিয়েছিলেন অভিনেতা। ফলাফল সবার সামনে। শাহরুখোচিত কৌতুকে তিনি বলেন, মেয়েরা সম্ভবত এই লুকটা পছন্দ করেছে। তিনি আশা করেন, এবার থেকে টাক মাথা ছেলেদেরও পছন্দ করবে মেয়েরা। তাঁর নিজেরও নাকি ন্যাড়া মাথার মেয়েদের ভালো লাগে, দাবি শাহরুখের।