প্রথমে হল পাওয়ার জন্য হল মালিকদের কাছে রীতিমতো হল ভিক্ষা করতে হয়েছিল বিবেক অগ্নিহোত্রীকে। প্রথম সপ্তাহে ৪৫০টির সামান্য বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছিল দ্য কাশ্মীর ফাইলস। তার পরের সপ্তাহে তৈরি হয় ইতিহাস। ছবিটি সাফল্যের শিখরে উঠে যায়। বর্তমানে সমগ্র দেশ তথা বিশ্বের চার হাজারটির বেশি স্ক্রিনে মুক্তি পেয়েছে কাশ্মীর ফাইলস। পরপর শো হয়ে গেছে হাউসফুল। হল মালিকরা বাধ্য হচ্ছেন অন্যান্য সিনেমার শো কে হটিয়ে কাশ্মীর ফাইলস রাখতে। আলিয়ার গঙ্গুবাই কিংবা প্রভাসের রাধে শ্যাম অথবা সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত অক্ষয় কুমারের বচ্চন পান্ডেকেও কাশ্মীর ফাইলসের কাছে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যদিও ছবিটির সমালোচনায় এখন পুরোপুরি রাজনৈতিক রং চলে এসেছে।
রাজনৈতিক রঙ যাই হোক না কেন ছবিটি বক্স-অফিসে রীতিমতো রাজত্ব করছে এখন। সিনেমার গবেষকদের মতে চলতি সপ্তাহে ২০০ কোটির মাইলস্টোন ছুয়ে ফেলতে পারে দ্য কাশ্মীর ফাইলস। যদি সমীকরণ ঠিক থাকে তাহলে খুব শীঘ্রই কোভিডকালের পর সর্বোচ্চ ব্যবসা করতে চলেছে এই সিনেমাটি।
গত ফেব্রুয়ারি মাসেই বসন্ত পঞ্চমীর পরের দিন সংগীতের দুনিয়া ছেড়ে বিদায় নেন ভারতের সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকর। তাঁর চলে যাওয়ার সাথে যেন থমকে যায় গোটা ভারতের সুরের নদী, ভেঙে যায় আপামর দেশবাসীর গানের ছন্দ। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ছবির সাফল্য প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লতা মঙ্গেশকর সম্পর্কে অজানা তথ্য ফাঁস করলেন দ্য কাশ্মীর ফাইলসের পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। কিংবদন্তি গায়িকার নাকি এই সিনেমায় একটি গান গাওয়ার কথা ছিল। পরিচালকের অনেক অনুনয়ে পর লতা মঙ্গেশকর গান গাইতে রাজিও হয়ে যান।
কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে মা সরস্বতীর কন্ঠ শেষবারের মতো ভারতের আর শোনা হলো না। পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান যে এটি একটি ডকুমেন্টারির ছাঁচে বানানো ট্র্যজিক ছবি। তাই এই সিনেমায় গানের বিশেষ ভূমিকা নেই। কিন্তু চিত্রনাট্যের খাতিরে তিনি একটি কাশ্মীরি লোকগান লতা মঙ্গেশকরের কন্ঠে সিনেমায় ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। যদিও তিনি জানতেন যে লতা মঙ্গেশকার তখন আর গান গাইবেন না। তবুও বিবেক অগ্নিহোত্রী তাঁর স্ত্রী পল্লবী যোশীর মাধ্যমে লতা মঙ্গেশকরকে গান গাওয়ার জন্য রাজি করান। কারণ লতা মঙ্গেশকরের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি।
ছবির চিত্রনাট্য শুনে লতা মঙ্গেশকর উদ্বেলিত হয়ে পড়েছিলেন। কারণ কাশ্মীর তাঁর অন্তরের খুব কাছের ছিল। স্টুডিওতে গিয়ে গান করার ডাক্তারের বারণ ছিল তাঁর। তবুও করোনা মহামারীর শেষে তিনি গান গাইবেন বলেছিলেন। কিন্তু সবই ভাগ্যের পরিহাস। শেষবারের মতো সরস্বতীর সুর শুনে যেতে পারলেন না দেশবাসী।