দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে তিনি কাঁপিয়ে বেরিয়েছেন ইন্ডাস্ট্রি। টলিউড তার দিকে বারবার স্বজনপোষণের আঙ্গুল তুললে তিনি পাল্টা বলেছেন যে তিনি নিজেই স্বজনপোষণের শিকার। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কি মনে হয়েছে কোনদিনও যে কেউ তাকে চলার পথে বাধা সৃষ্টি করছে! কীভাবে তিনি সেই বাধা অতিক্রম করেছেন।
ঋতুপর্ণা প্রতিক্রিয়ায় জানান স্বজন পোষণ নিয়ে যাঁরা হয়তো প্রশ্ন তুলছেন, তাঁরা জানবেন তারা কেন অভিনেত্রীর দিকে আঙুল তোলেন। তবে তিনি যদি স্বজন পোষণের শিকার হয়েছেন, তবে তিনি এর জন্য কারো বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙ্গুল তুলবেন না। কারণ নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়াই করে ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি একা টিকে আছেন। তিনি এই জীবনটাকে একটু বড় যুদ্ধের মতো দেখেন। যেখানে প্রতিটা দিন লড়াই করে বেঁচে থাকতে হয়।
টলিপাড়া এখন তার বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগে উত্তাল। বিশেষ করে অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুর পর তাকে ঘিরে জল্পনা আরও বেড়ে গিয়েছে। তিনি কি সত্যিই টালিউডে নেপোটিজমের নেপথ্য নায়িকা? এমন প্রশ্নই উঠে আসে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণের পর।
দহনের জন্য জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী স্পষ্ট প্রতিক্রিয়া যে’ তিনি কোনদিনও ঠিক স্বজন পোষণের মধ্যে থাকেন না, এর মধ্যে কীভাবে নিজেকে দেখবেন বুঝতে পারেন না, অনেক লড়াইয়ের পর তিনি আজ এই জায়গায়। আজও তার কাছে সেই যুদ্ধটা চলছে। তিনি তার কাজের মধ্যে দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে ব্যস্ত। নিজের কাছে কিভাবে নিজের সেরাটা দেওয়া যায় তাতেই মনোযোগী অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। তাই অন্য কারো কাজ নষ্ট করার কথা তার মাথাতেও আসেনা।
অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র বারবার নিজের বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এবং প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জুটির বিরুদ্ধে। তিনি যে নিজে কোন দিনও স্বজনপোষণের সুবিধা পাননি একথা তিনি নিজেই স্পষ্ট করেছিলেন। তার পরিবারের এর আগে কেউ এই ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলনা। তার প্রতিটি কাজই তার পরের কাজের ভাগ্য নির্ধারণ করে দিত। একটি সিনেমা কমার্শিয়ালি হিট হওয়ার পরই পরবর্তী সিনেমার ডাক পেতেন তিনি।
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত মনে করেন সেভাবে অভিযোগ তুলতে গেলে অভিনেত্রী নিজেই স্বজনপোষণের শিকার হয়েছেন। তবে তিনি এসব নিয়ে ভাবিত হন না।তার কাছে এগুলি ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকার একটি অঙ্গ মাত্র।