কেকে (KK) নেই। গত রাতে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন কেকে। রেখে গিয়েছেন নব্বইয়ের দশকের একরাশ উন্মাদনা। এখনও শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ, কেউই বিশ্বাস করতে পারছেন না, কেকে নেই। গতকাল, 31 শে মে নজরুল মঞ্চে ছিল তাঁর জীবনের শেষ কনসার্ট। সেই কনসার্টের লাইভ দেখছিলেন বিশ্ববাসী। কিন্তু এই কনসার্টের লাইভ চলাকালীন রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) একটি লাইভ করেন।
সেই লাইভে এসে রূপঙ্কর বলেন, তিনি ইতিমধ্যেই কেকের কয়েকটি লাইভ দেখেছেন। তাঁর মনে হয়, তিনি ও কলকাতার অন্য গায়করা কেকের তুলনায় অনেক ভালো গান। এমনকি রূপঙ্কর তাঁর লাইভে বিদ্রুপ করে বলেন ‘কেকে’ কে? রূপঙ্করের এই লাইভের পর এমনিতেই ধূমায়িত হচ্ছিল অসন্তোষ। এর মধ্যেই কেকের মর্মান্তিক মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। রূপঙ্করের উপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিল্পী থেকে সাধারণ মানুষ। নেটিজেনদের একাংশ রূপঙ্করের লাইভ প্রসঙ্গে বলেন, এই ধরনের মানসিকতা সম্পন্ন শিল্পীর পাশে তাঁরা দাঁড়াতে রাজি নন। অভিনেত্রী তিথি বসু (Tithi Basu)-র মা মন্দিরা বসু (Mandira Basu) তাঁর ফেসবুক পোস্টে রূপঙ্করকে বয়কট করার কথা লেখেন।
তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে রূপঙ্কর বাধ্য হন কেকে সম্পর্কিত লাইভটি ডিলিট করতে বাধ্য হন। গতকাল থেকে এখনও পর্যন্ত তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলের রেটিং 6 থেকে কমতে কমতে নেমে গিয়েছে 4.6-এ। তবে রূপঙ্কর জানিয়েছেন, তিনি ব্যক্তিগত ভাবে কেকে-কে না চিনলেও তাঁর গানের ভক্ত ছিলেন। রূপঙ্কর কিন্তু নিজেও এখনও মানতে পারছেন না কেকে-র এভাবে চলে যাওয়া। তাঁর মতে, তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
গতকাল নজরুল মঞ্চের কনসার্টের সময়ই অসুস্থ বোধ করছিলেন কেকে। এরপর হোটেলে ফিরেই সোফায় বসে থাকার সময় বমি হয়। কেকে পড়ে যান সোফা থেকে। তাঁকে দ্রুত সিএমআরআই-তে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করা হয়। পয়লা জুন এসএসকেএম হাসপাতালে পোস্টমর্টেম হওয়ার পর কেকে-র পার্থিব শরীর রবীন্দ্রসদনে শায়িত রাখার কথা ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিকাল সাড়ে পাঁচটার সময় কেকে-র পার্থিব শরীর নিয়ে যাওয়া হবে মুম্বই। তার আগে রাজ্যের তরফে গান স্যালুটে জানানো হবে শেষ সম্মান। মুম্বইয়ের মাটিতেই কেকে-র অন্তিম ক্রিয়া সম্পন্ন হবে।