whatsapp channel
Hoop Story

Blue Lobster: ৩০ লাখে দেখা যায় একটা! নীল রঙের বিরল লবস্টার উঠল মৎস্যজীবীর জালে

আজকাল ইউটিউবে অনেকে খাবার দাবারের ভিডিও করেন। কেউ মাংস খাচ্ছেন তো কেউ ফাস্ট ফুড, কেউ নানান রকমের মাছ, ফল, চকলেট, কেক। এই ভিডিওগুলোকে মূলত ASMR ভিডিও বলে। এই ধরনের খাবারের ভিডিওতে দেখবেন বেশ কিছু বিদেশী ইউজার লবস্টার খাচ্ছেন। বিভিন্ন সস বা মেজনিজের মধ্যে ডুবিয়ে আস্ত লবস্টার মুখে ঢোকাচ্ছেন। দেখলে আপনার লোভ হবে বৈকি। ইচ্ছে হয় এই ধরনের লবস্টার যদি আমার প্লেটে থাকে। সাধারণত বড় বড় বিয়ে বাড়ি বা ফাইভ স্টার হোটেলে এই লবস্টারের দেখা পাওয়া যায়। কারণ, এর দাম খুবই বেশি এবং সহজলভ্য নয়। দক্ষিণ আটলান্টিক সমুদ্রে লবস্টার বিশ্বে বেশি জনপ্রিয়।

সম্প্রতি, আমেরিকার এক মৎস্যজীবী পোর্টল্যান্ডের সমুদ্রে মাছ ধরার সময় লবস্টারের দেখা পান। ভাবছেন, এটা আবার নতুন কি? মৎস্যজীবীদের জালে মাছ উঠবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, এই লবস্টার ছিল বিরলতম লবস্টার।

এই লবস্টারটির গায়ের রং ছিল উজ্জ্বল নীল। গায়ের রং এতটাই সুন্দর যে আপনার চোখ হয়তো স্বার্থক হয়ে যাবে। লবস্টার সাধারণত কালচে বা কমলা রঙের হয়। কিন্তু, এটা এক্কেবারে গাঢ় নীল। গবেষণা বলছে, তিন কোটির মধ্যে একটা হয় এই নীল লবস্টার। এবং, এই লবস্টারকে ‘বানানা’ বলা হয়। পোর্টল্যান্ডে সমুদ্রে মাছ ধরার সময় লার্স-ইয়োহান লারসন নামে ওই মৎস্যজীবীর জালে ওঠে এই বিরলতম লবস্টার।

মৎসজীবী নীল লবস্টারের ছবি নেন, ভিডিও করেন এবং সমুদ্রের জলে ফের ছেড়ে দেন। কারণ তার উদ্দেশ্য নতুন মাছের খোঁজ করা, মেরে কেটে খেয়ে ফেলা নয়। যাইহোক, এই লবস্টার নোনা জল তথা সমুদ্র ছাড়া বাঁচে না, নদীর জলে এর চাষ হয় না। এটি গলদা, বাগদার মতন হলেও এটি একটি এটি বড় সাইজের সন্ধিপদী প্রাণী।

whatsapp logo