শুটিং বন্ধ হয়ে গেল নারকেল তেলের জন্য। ভাবা যায়! তাও যদি এই ঘটনা দক্ষিণ ভারতে কোনো কুকরি শোয়ে ঘটত, মানা যেত। কারণ সেখানে রান্নার জন্য প্রায়ই নারকেল তেলের প্রয়োজন হয়। তবে চুলে মাখার নারকেল তেল নয়, এডিবল কোকোনাট অয়েল। কিন্তু ঘটনাটি ঘটল বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে যার গালভরা নাম ‘ঢালিউড’। ঘটনার নায়িকা মাহিয়া মাহী (Mahiya Mahi)।
ঢালিউডে সরকারি অনুদানে নির্মিত হচ্ছিল বাংলা ফিল্ম ‘আশীর্বাদ’। তার সেটেই ঘটেছে ঘটনাটি। তবে ঘটনাটি বর্তমান কালের নয়। ‘আশীর্বাদ’-এর শুটিং চলছিল করোনা পরিস্থিতিতে। এইসময় বিনোদন জগত আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি কমে গিয়েছিল কাজের সংখ্যাও। ফলে অত্যন্ত কষ্ট করে ‘আশীর্বাদ’-এর শুটিংয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন এই ফিল্মের সহ-প্রযোজক তাহেরা জেনিফার ফিরদৌস (Tahera Jenifer Firdaus)। কিন্তু শুধুমাত্র মাহিয়া মাহীর অপেশাদারসুলভ আচরণের কারণে শুটিংয়ে অসুবিধা হচ্ছিল।
11 ই অগস্ট, বৃহস্পতিবার, একটি সাংবাদিক সম্মেলনে জেনিফার জানান, ফিল্মের শুটিং সঠিক সময়ে শেষ করার জন্য তিনি সব কিছুই মুখ বুজে সহ্য করেছেন। জেনিফারের সহকারী একটি ছেলেকে মাহী নারকেল তেল আনতে বলেছিলেন। নারকেল তেলটি আনতে দেরি হয়ে যায়। এই সামান্য কারণে প্রযোজনা সংস্থার কাছে ওই ছেলেটিকে (স্পটবয়) বাদ দেওয়ার শর্ত রাখেন মাহী। নাহলে শুটিং বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেন মাহী। ফলে বাধ্য হয়ে শোচনীয় আর্থিক অবস্থা সত্ত্বেও বাদ দিতে হয় ছেলেটিকে। ওই দিন কর্মহীন হয়ে কাঁদতে কাঁদতে সেট থেকে বেরিয়ে যায় ছেলেটি।
জেনিফারের এই অভিযোগের বিরুদ্ধে এখনও অবধি কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি মাহী। ‘আশীর্বাদ’ ফিল্মটি পরিচালনা করেছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক (Mostafizur Rahaman Manik)। ফিল্মটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে আগামী 19 শে অগস্ট।
View this post on Instagram