whatsapp channel

Leena Ganguly: মৃত্যুর পর ফিরে এলো গুনগুন, খড়কুটোর শেষ পর্বেও ট্রোলের মুখে লীনা গাঙ্গুলী

গত ২১ শে আগস্ট ছিল 'খড়কুটো' ধারাবাহিকের হ্যাপি এন্ডিং। হা রে রে রে আমায় ছেড়ে দে রে রে দিয়ে ধারাবাহিক শেষ হলেও দর্শক একেবারেই খুশি নয়। দর্শকদের মতে এটা ছিল…

Avatar

গত ২১ শে আগস্ট ছিল ‘খড়কুটো’ ধারাবাহিকের হ্যাপি এন্ডিং। হা রে রে রে আমায় ছেড়ে দে রে রে দিয়ে ধারাবাহিক শেষ হলেও দর্শক একেবারেই খুশি নয়। দর্শকদের মতে এটা ছিল লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের লেখা একটা বোকা গল্পের শেষ অংশ। একেবারেই অবৈজ্ঞানিক এবং সুর তাল কাটা গল্প।

ঠিক কী দেখিয়েছেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তার খড়কুটো গল্পে? এই গল্পে দেখানো হয় গুনগুন সৌজন্যের মধ্যে এক বড় দূরত্ব তৈরি হবে, যেখানে গুনগুনকে হসপিটালে মৃত দেখানো হবে। সৌজন্য একা হয়ে যায়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর ফের গুনগুন ফেরে। গল্পে, এই গুনগুন হল ডাক্তার মজুমদারের মেয়ে এবং পেশায় একজন থেরাপিস্ট। যাকে হুবহু দেখতে সৌজন্যের গুনগুন এর মতন, তার হাবভাব চালচলন সবটাই যেন ২৫ বছর আগে মরে যাওয়া গুনগুন এর মতন । অন্যদিকে গুনগুন ও সৌজন্যের ছেলে ঈশান হয়েছে একেবারে সৌজন্যের মতন। হুবহু বাবার মতন ছেলে। সে পেশায় ডাক্তার এবং অঙ্কলজিস্ট। একই হাসপাতালে দেখা হয় ঈশান ও গুনগুনের। সেই পুরোনো ড্রামা, ঝগড়া, হাসি, মজা। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় তার লেখনীতে এক গুনগুন হত্যা করলেও আরেক গুনগুন জন্ম দিয়ে দিয়েছেন।

এরকম অবিকল দেখতে দুজনকে, এমনকি তাদের হাবভাব কথা বার্তার মধ্যে ২০০% মিল দেখে তাজ্জব অনুরাগীরা। এও কি সম্ভব বাস্তবে? এতো গল্পের গরু গাছে উঠে আর নামতে পারছে না।

যদিও লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন যে তিনি নিজে যখন একটি গল্প তৈরি করেন, তখন সেখানে কোন চরিত্রের জার্নি কোথায় শেষ হবে, তা লেখকই ঠিক করবেন। লেখায় কোনও গণতন্ত্র চলে না। কিন্তু, গল্পে এমন টুইস্ট দেখে বড়সর সমালোচনার মুখে লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। নিজে সোশ্যাল মিডিয়া ফলো না করলেও সমস্ত আপডেট রাখেন। তাই এই ট্রোলের জবাবে লীনা বলেন যে এটা একটা প্রতীকি ভাবনাকে উপস্থাপন করা হয়েছে, যে প্রিয় মানুষরা বারবার ফিরে ফিরে আসে। তাঁরা এই সমাজেই থাকে। সেইটুকু বোঝবার মেধা যাদের থাকবে তাঁরা বুঝবেন, আর যাদের বোঝবার মেধা নেই- তাঁরা তাঁদের মতো করে ব্যাখা করবেন। কোনওটাতেই আমার কোনও প্রতিক্রিয়া নেই।

whatsapp logo