Sudipa Chatterjee: ক্ষমা চেয়েও মিলছে ‘অহংকারী’ তকমা, পুজোর মুখে দুর্দিন শুরু সুদীপার
‘আমি শুধু জানতে চাই একজন ডেলিভারি বয় কেন ফোন না করে গন্তব্যে আসতে পারেন না।ফোন করে বলেন, আপনি গেটটা খুলুন আমি আসছি। আমি কী দারোয়ান যে গেট খুলব।’ – এটা ছিল গত তিন দিন আগের নিম্নচাপ। যার জেরে তুমুল বৃষ্টি ঝড় হয়ে গিয়েছে। এমনিতেই আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানায় বাংলার বেশ কিছু জেলায় বৃষ্টি হবে। সেই রেশ যে রান্নাঘরে সঞ্চালিকা সুদীপার জীবনেও আসবে তা থোড়াই জানতেন তিনি।
এবারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ইংরেজিতে একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন চর্চিত সঞ্চালিকা। এককথায় তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তার বলা কথা এই যে – ওদের অ্যাপেও তো কোথাও লেখা নেই তোমাকে দরজা খুলে অর্ডার হাতে পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। আমি যা লিখছি তার মধ্যে কোথাও ডেলিভারি বয়ের কথা নেই, শুধু ওই প্রতিষ্ঠানকে সমালোচনা করেছি। তাহলে ডেলিভারি দিতে আসা গরীব মানুষটাকে অপমান করার কথা উঠছে কীভাবে! আমার মনে হয় আমি যা লিখেছিলাম সেটা হয়তো বুঝতে পারেনি অনেকে। তারা নিজেদের জীবনের হতাশা ফ্রাস্ট্রেশন করে বের করছেন। যার ফল হচ্ছে কথার মানে না বুঝেই সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে খাওয়াখায়ি শুরু করা। না বুঝেই একটা মতামত তৈরি করে একটা মানুষকে অপমান করতে শুরু করে দেওয়া। আর এটা করে আপনাদের কী যে শান্তি মেলে! এটা হয়তো আপনাকে ২ মিনিটের পাবলিসিটি দেয়, পাশাপাশি ভিতরের আসল মানুষটাকেও বের করে আনে।
এই সব কিছুর শেষে সুদীপা লেখেন যে তিনি যদি কাউকে আঘাত করে থাকেন তাহলে তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। মা আসছেন, তাই আসুন আমরা ভিতরের সব খারাপে শেষ করে শান্তিতে থাকি।
View this post on Instagram
সুদীপা এত কিছু লিখলেন অথচ তাও কটাক্ষ থামেনি। তার পোস্ট করা এই দীর্ঘ ক্ষমাপ্রার্থনা নিয়েও শুরু হয়েছে নেগেটিভ সমালোচনা। প্রায় সকলেই বলতে শুরু করেছেন যে সুদীপার বলা কথাগুলো র মধ্যেও অহংকার রয়েছে। কেউ এও লিখেছেন যে কিসের সেলেব ভাই? রান্নাঘরে এসে উম আম করে কেউ কি সেলেব হয়?