‘নষ্ট করে দে’, জন্ম দেওয়ার আগেই কটাক্ষে বিদ্ধ স্নিগ্ধজিতের মা, বলতে গিয়ে চোখে জল ‘সারেগামাপা’ প্রতিযোগীর
বিজ্ঞান বলে বাবা বা মায়ের জিনগত সমস্যা থাকলে সন্তানের প্রবল সম্ভবনা থাকে বিকলাঙ্গ হওয়ার বা সমস্যার। পরিবারের কেউ যদি পাগল বা জিনগত কোনো সমস্যায় ভোগেন তাহলে আগত সন্তানের অসুবিধা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু, সব ক্ষেত্রে কি এমনটা হয়? উত্তর হল না। রাজার ছেলে যেমন সবসময় রাজা হয় না বা ডাক্তারের ছেলে যেমন সবসময় ডাক্তার হয় না তেমনই পাগলের সন্তান কখনো পাগল হয় না। প্রকৃতির নিয়মে সে সুস্থ হতে পারে। সেরকমই উদাহরণ হলেন স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক (Snigdhajit Bhowmik).
সা রে গা মা পা রিয়্যালিটি শোয়ের দৌলতে স্নিগ্ধজিৎ এখন একজন জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী বা উঠতি তারকা। বাংলা থেকে হিন্দি সর্বত্র স্নিগ্ধজিৎ তার গানের রেশ ছড়িয়ে সকলের মন জয় করে নিচ্ছেন। বুনিয়াদপুরের ছেলে স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক এই মুহূর্তে সা রে গা মা পা র মঞ্চ কাপাচ্ছে। তার গানে মুগ্ধ গুরু থেকে শ্রোতারা।
চলতি সপ্তাহে মা স্পেশ্যাল এপিসোডে স্নিগ্ধজিৎ গাইবেন তার মায়ের জন্য। এদিন সকলের মেয়েরা উপস্থিত থাকছেন মঞ্চে, কিন্তু স্নিগ্ধজিৎ এর মা অসুস্থ থাকার জন্য গ্রামের বাড়িতেই আছেন। ভিডিও কলের মধ্যে দিয়ে তিনি প্রোগ্রাম দেখবেন। শ্যুট হয়ে গিয়েছে, দর্শকরা ইতিমধ্যে প্রোমো দেখে নিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে সম্পূর্ণ শো টেলিকাস্ট হবে।
এদিন ‘তারে জমিন পর’ ছবির ‘মেরি মা’ গান শোনাবেন স্নিগ্ধজিৎ। শিল্পীর না আপাতত অক্সিজেন সাপোর্টে রয়েছেন, এবং তার স্ত্রী তার মায়ের কাছেই আছেন। এদিন শো শেষে স্নিগ্ধজিৎ আবেগে ভাসতে ভাসতে জানান, ‘আমার বাবা মানসিকভাবে অসুস্থ, তাই লোকজন মা-কে বলেছিল গর্ভপাত করিয়ে নাও, পাগলের ছেলে পাগল হয়েই জন্মাবে… মা আমাকে এই পৃথিবীর আলো দেখিয়েছে, এর চেয়ে বড় আর কী হবে!’ অবশেষে দেখিয়ে দিতে পেরেছেন শত কটূক্তি, লাঞ্ছনার পরেও হাসি মুখে এবং প্রতিভার জোরে মন জয় করা সব থেকে সহজ কাজ। সেই সহজ কাজ প্রতিনিয়ত করে চলেছেন স্নিগ্ধজিৎ ভৌমিক।