মা বাবা হতে চলেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ গুরমীত-দেবিনা। কিন্তু, সন্তান আসা মাত্রই সমালোচনার শিকার এই জুটি। কারণ, এটা তাদের দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সি এবং প্রথম সন্তানের বয়স যখন মাত্র ৪ মাস ততদিনে দ্বিতীয়বার এর জন্য প্রেগন্যান্ট হয়ে গিয়েছেন দেবিনা । এতেই বেশিরভাগ নেট জনতা ছি ছি শুরু করেছে, কেউ কেউ প্রশ্ন রেখেছে এত তাড়া কিসের? কেউ বলেছেন, যেই মা ব্রেস্ট ফিডং করায় সেই মা এত তাড়াতাড়ি কিভাবে প্রেগন্যান্ট হয়, কেউ বলেছেন, এতে করে প্রথম বাচ্চাটি অবহেলিত হবে, অন্তত দুই বছর অপেক্ষা করা যেত। কেউ বলেছেন, দুটো বাচ্চা কিভাবে সামলাবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
সমস্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির গুরমীত-দেবিনা, তাদের ইউটিউব চ্যানেল Debina Decodes এ। যেহেতু, সমস্ত দোষ গুরমীত এর ঘাড়ে এসেছে, তাই এর উত্তর গুরমীত এক কথায় দিয়েছেন, ঘরে এতো সুন্দরী বউ থাকতে অপেক্ষা কিসের? উত্তরটা মজার ছলে দিলেও, এর ভিতরের কাহিনী খুবই দুঃখজনক।
বিয়ের পর প্রায় সাত বছর ধরে সন্তান ধরনের চেষ্টা করছিলেন এই জুটি। প্রতি মাসে শুধু নেগেটিভ রেজাল্ট পেতেন।দেবিনা প্রতিমাসে কাঁদতেন, ভেঙে পড়তেন। স্বামী তার পাশে থাকলেও পজিটিভ রেজাল্ট কখনো পাননি। বহু ডাক্তার দেখিয়েও কিছুই হয়নি। এরপর বিজ্ঞানের হাত ধরে IVF treatment এর সাহায্য নেন, এবং ঘরে আসে ফুটফুটে লিয়ানা।
এরপর আবারও দেবিনা জানান যে তিনি ন্যাচারাল পদ্ধতিতে প্রেগন্যান্ট হয়েছে। গুরমীত এর দাবি, তিনি প্রথমে বিশ্বাস করেননি। তার কাছে মনে হয়েছে এটা কি আদৌ সম্ভব! কারণ , দেবিনা গত সাত বছর ধরে চেষ্টা করেও ন্যাচারাল পদ্ধতিতে মা হতে পারেননি। শেষে আচমকা এই প্রেগন্যান্সি। দেবিনা র কথায়, এটা তাদের কাছে আশীর্বাদ এবং লিয়ানা একটি ভালো আত্মা এবং ও শুভ। সেইজন্যেই দ্বিতীয় প্রেগন্যান্সি তাদের কাছে আদরের। এটা কোনোভাবেই তারা হারিয়ে দিতে পারেন না। বিশেষত ভালো সময় বলে কিছুই হয় না, যখন জেরা হওয়ার সেটা হবেই। এই সব উত্তরের পাশাপাশি অভিনেত্রী জানান যে তার স্বামী তার বিশেষ খেয়াল রাখছেন, তার শরীরে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। বাচ্চার হার্ট বিট মাঝে মইধ্যে গিয়ে শুনে আসেন ডাক্তারের থেকে। আপাতত হ্যাপি লাইফ লিড করছেন ছোট পর্দার রাম সীতা।