সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় অপুর সংসার (Apur Sansar (The World of Apu) দিয়ে হাতেখড়ি হয় স্বনামধন্যা নায়িকা শর্মিলা ঠাকুরের। ইনিই প্রথম ছক ভাঙ্গার গল্প শিখিয়েছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রক্তের ও পদবীর, যদিও ১৯৬৯ সালে ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড় এবং অধিনায়ক মনসুর আলি খান পতৌদিকে বিয়ে করেন তিনি। ছক ভাঙ্গার গল্প ১৯৬৯ থেকেই শুরু করে দিয়েছিলেন তিনি। ভিন্ন ধর্মে নিজেকে পরিচয় দিতে শুরু করেন শর্মিলা। নাম পরিবর্তন করে রাখেন আয়েশা সুলতানা/ শর্মিলা ঠাকুর খান/ আয়েশা সুলতানা খান ইত্যাদি। প্রসঙ্গত, শর্মিলার দিদিমা ছিলেন ললিতা। তিনি আসলে রবীন্দ্রনাথের বড়দাদা দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাতনি ছিলেন। এই হল দ্বিতীয় ছক ভাঙ্গার কাহিনী।
এরপর আসে সেই ছবি যার হাত ধরে প্রথমবার ট্যাবু ভেঙ্গে বিকিনি পরিধান করেন নায়িকা শর্মিলা ঠাকুর। ছবির নাম An Evening In Paris। ১৯৬৭ সালে সিনেমাটি মুক্তি পায়। সেই সময় বিকিনি পরা ভারতীয় নারীর জন্য খুব সহজ ছিল না। কিন্তু অভিনেত্রী সেই কাজ করে দেখিয়ে দিয়েছিলেন যে যেকোনো সময় শুরু করা যায়। সিনেমা ছাড়াও ম্যাগাজিনের কভার গার্ল হওয়ার জন্য বিকিনি শ্যুট করিয়েছিলেন তিনি।
কিছুদিন আগে করিনা কাপুর খানের রেডিয়ো শো-তে হাজির হন শর্মিলা৷ সেখানে পুত্রবধূ কারিনা কাপুর শর্মিলা ঠাকুরকে তাঁর প্রথম বিকিনি পরিধান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যেখানে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর জানান যে আমার টাইগার ( স্বামী মনসুর আলী খান) আমাকে সাপোর্ট করেছে এবং তিনি বলেছেন যে আমাকে এই ড্রেসে সুন্দর লাগছে। কিন্তু পরিচালক শক্তি সামন্ত শর্মিলার এমন ড্রেস নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
স্বামীর সম্পূর্ণ সাপোর্টে সেদিনের শর্মিলা ঠাকুর পরবর্তীতে পতৌদির বেগম সাহেবা হয়ে উঠেছেন। ফিল্মফেয়ার ম্যাকাজিনের কভার পেজে ছেপে বেড়িয়েছিল শর্মিলার অন্তার্বাসের লুক। সেইসময় এই ছবি নিয়ে উত্তাল হয়েছিলো বিভিন্ন মহল। কিন্তু কুছ পরোয়া নেহি। স্টানিং ফিগার নিয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছিলেন শর্মিলা।