Laxmi Puja: প্রতিমাবিহীন লক্ষ্মী পুজো হয় বঙ্গদেশে, জেনে নিন ইতিহাস
কোজাগরী লক্ষ্মী পূজার দিন ধুমধাম করে লক্ষ্মী ঠাকুরের পুজো করা হয়। লক্ষ্মী হলেন ধন-সম্পদের দেবী। এই মাকে আপনি যদি নিয়ম মেনে পুজো করেন তাহলে আপনাকে আর কোনদিন অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে হবে না। মা দুর্গা চলে যাওয়ার পরে কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে মা লক্ষ্মী পুজো করা হয়। স্থান ভেদে বা অঞ্চল ভেদে একেক জায়গায় একেক রকম ভাবে মা লক্ষ্মী পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় এমন আছে যেখানে প্রতিমা ছাড়াই পুজো করা হয়।
১) মা লক্ষ্মীর ঘট – অনেক সময় অনেক জায়গাতে লক্ষ্মী প্রতিমাকে পুজো না করে পোড়া মাটির ঘট, যার মধ্যে ধান এবং পবিত্র নদীর জল দিয়ে ভরাট করে তাকে প্রতিমার মতন পুজো করা হয়।
২) লক্ষ্মীর সরা – মাটির সরার মা লক্ষ্মীর ছবি এঁকে, তাকে প্রতিমা জ্ঞানে পুজো করার এই নিয়ম কানুন কিন্তু ওপার বাংলা থেকেই আমাদের বঙ্গদেশে এসেছে। নদীয়া জেলার তাহেরপুর, নবদ্বীপে এইরকম মাটির সরায় লক্ষ্মী ঠাকুর আঁকা হয়।
৩) আড়ি লক্ষ্মী – চাল তোলার কুনকে আমরা ব্যবহার করি। সেই কুনকের মধ্যে ভর্তি করে চাল নিতে হবে। তার ওপরে একটি লাল চেলি কাপড় দিয়ে একটি জলচৌকির ওপরে বসিয়ে দিতে হবে। এরপরে তাকে প্রতিমা জ্ঞানে পূজা করেন গ্রাম বাংলার মানুষরা।
৪) সপ্ততরী – সাতটি কলার পেটো পরপর সাতটি নৌকা হিসাবে সাজানো হয়, আর সেই সাতটি নৌকায় থাকে চাল, ডাল, হরিতকী, কাঁচা হলুদ, খুচরো পয়সা এবং টাকা। বাণিজ্য এর জন্য সপ্ততরী ভাসাতেন নাবিকরা সমুদ্রের জলে। বণিকদের সেই প্রেক্ষাপট থেকেই মা লক্ষ্মীর আরাধনা শুরু হয়েছে আমাদের গ্রাম বাংলায়।
৫) বেরি লক্ষ্মী – নতুন কলা গাছের ডাল কে ভালো করে প্রস্তুত করা হয়। ছালগুলোকে পাকিয়ে নারকেল গাছের নতুন কাঠির সঙ্গে আটকে দেওয়া হয়। এই ভাবে নটি তৈরি করা হয়, এরপর এই গুলোকে ভাল করে সিঁদুর দিয়ে মাখানো হয়, তারপর জলচৌকির ওপরে রেখে মা লক্ষ্মী জ্ঞানে পূজা করা হয়।