জি বাংলার ধারাবাহিক ‘অপরাজিতা অপু’র ভিলেন আন্টি-২ ওরফে নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়কে (Nondinii Chatterjee) মনে আছে? সেই গাঢ় লিপস্টিক, বড় টিপ, খোঁপা, চোখে মুখে যার শয়তানি, সেই আন্টি-২ ওরফে নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়কে এখন দেখলে আপনি রীতিমত ভিরমি খাবেন। তার চলন, চাল ঢাল এক্কেবারে অন্যরকম। বিশেষত, পোশাকে এনেছেন দারুন বদল। এই বয়সেও যে তিনি এতটা সাহসী হয়ে উঠতে পারবেন সেটা তার ছবি ও ভিডিও প্রমাণ দেয়।
চলে যাই গোয়ার (Goa) বিচে। গোয়া মানেই উষ্ণতা, উত্তাপ, আর মাদকতা। দীঘা, পুরীর মতন এঁদো বাঙালি নয় সে, একেবারে টানটান সুন্দরী। সেখানে যেই মেয়েই যাক না কেন, তার সাহস যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়।ইচ্ছে করে নিজেকে অন্যভাবে মেলে ধরতে। সে লোকে যে যাই বলুক, নিজেকে একটু লোভ দেখতে সব মেয়েরাই পছন্দ করে। ঠিক তেমনই নিজেকে একেবারে অন্য ভাবে মেলে ধরলেন অভিনেত্রী নন্দিনী চট্টোপাধ্যায়। পর্দায় যাকে সবসময় খল নায়িকার চরিত্রে দেখা যায়, তাকেই গোয়া বিচে পাওয়া গেল বোল্ড অবতারে।
View this post on Instagram
পরনে তাঁর বিকিনি, উত্তাপ ছড়িয়েছে তাঁর বক্ষ যুগল।বিশেষত, সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীর বিকিনি ছবি ও ভিডিও তৈরি করেছে তুমুল হইচই। এর আগেও বহু বাঙালি অভিনেত্রী গোয়ায় গিয়ে বিকিনি ছবি পোস্ট করেছেন, তারা এর জন্য ট্রোলড হয়েছেন, কেউ কেউ অল্প প্রশংসা কুড়িয়েছেন। তবে, নন্দিনী দেবী একটু বেশি মাত্রায় সমালোচিত হয়েছেন।
এই প্রসঙ্গে বলা বাহুল্য, সমুদ্র বিচে মেয়েরা নিশ্চয় নাইটি, চুড়িদার, শাড়ি পরে ঘুরবেন না বা সমুদ্র উপভোগ করবেন না। সমুদ্র মানেই গর্জন, মাদকতা, নেশা আর ঐশ্বরিক সৌন্দর্যের বিশাল আকার। তাই তার সামনে গেলে পোশাক যেন মনে হয় তুচ্ছ, এখানে নগ্নতা কোনো অশ্লীলতা নয়, বরং গোপনীয়তাকে খানিক প্রশ্রয় দিয়ে সমুদ্রের সঙ্গে মিশে যাওয়া। ঠিক যেমনটা করেছেন অভিনেত্রী নন্দিনী। তিনি তার বয়স, লোকলজ্জা ভুলে, শুধুমাত্র নিজের ইচ্ছাকে প্রশ্রয় দিয়ে সমুদ্রের নৈসর্গিক সৌন্দর্যের বিশাল ব্যাপ্তির কাছে মিশে গিয়েছেন।
View this post on Instagram
