মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে শনিবার যেই নাগরিক মিছিল শুরু হয় সেই প্রসঙ্গে অভিনেতা জিতু কমল (Jeetu Kamal) যা বললেন তা অনেকের কাছে যেমন প্রশংসনীয় হয়ে উঠেছে তেমনই বিদ্রুপের শিকারও হয়েছেন তিনি। তবে, সত্য কথা সহজ ভাবে বলেছেন জিতু তাতেই বেশিরভাগ নেট জনতা খুশি, যেমন তার ধারালো অভিনয়, তেমন তার প্রতিবাদের ভাষা। এহেন, জিতুর প্রতিবাদের প্রত্যেকটি শব্দকে সাধারণ মানুষ কুর্নিশ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, শুক্রবার মধ্যরাতে করুণাময়ীতে (Karunamoyee) চাকরিপ্রার্থীদের বলপূর্বক তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। তোলপাড় হয় টেট পরীক্ষার প্রার্থীদের সঙ্গে পুলিশের। যারা ধর্নায় বসেছিলেন তাদের প্রত্যেককে জোর করে বলপূর্বক পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়। এরপরেই নাগরিক মিছিলের ডাক দেয় বামপন্থীরা। এক্ষেত্রে, বলা বাহুল্য জিতু কামাল হলেন একজন বামপন্থী মনোভাবাপন্ন অভিনেতা। তাঁর চোখে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য হলেন আবেগ, এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে তার মন্তব্য, ” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে বড় কথা, অমানবিকতার বিরুদ্ধে এই মিছিল, যেখানে গণতন্ত্রকে মারা হয়”।
এদিন, জিতু এও বলেন, “আমার কলকাতায় আমি বিদ্রোহ করবো না, বিপ্লব করবো না? আপনিও তো বিপ্লব করেই এসেছেন, আপনাকে তো কুর্নিশ জানিয়েছিল মানুষ” বুদ্ধদেব বাবুর প্রসঙ্গ উঠলে জিতু বলেন, তিনি সবাইকে নিয়ে চলতে চেয়েছিলেন এটাই তার দোষের।অন্যদিকে মমতা বন্দোপাধ্যায় সম্পর্কে জিতুর স্পষ্ট বার্তা, “মানবিকতার প্রয়োজন আছে, মহিলা তো, মহিলাদের থেকে আরো বেশি এক্সপেকটেশন ছিল আমাদের”। উল্লেখ্য, বাংলা ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ অভিনেতা অভিনেত্রী সবুজ পথের পথিক,মাঝের গুটি কয়েক শিল্পী লাল রঙে রঙ্গিন, আর তাদের মধ্যে জিতু যথেষ্ট স্পষ্টবাদী ।
অভিনেতা জিতু, প্রত্যক্ষ ভাবে রাজনীতি না করলেও মনে প্রাণে বামপন্থী। তবে, ধারাবাহিকের মোড়ক ছেড়ে তিনি যেভাবে নিজেকে অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজি’ (Aparajito) ছবিতে তুলে ধরেছেন রাতে করে জিতুর পরিচিতি কয়েকশো গুন বেড়েছে। অপরাজি’ (Aparajito) ছবিতে সাফল্যের পর তাকে পুনরায় দেখা যাবে বড় পর্দায়, দেবাদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ‘তিতুমীর’-এর সৌজন্যে।