অসাধারন বাশির সুর বাজিয়ে ফেসবুকে ভাইরাল এই শিল্পী, প্রশংসার ঝড় নেটদুনিয়ায়
গানের জগৎ বা সুরের মায়াজাল সৃষ্টিতে ভারতীয় সঙ্গীতবিদ্যার ভূমিকার কথা আজ গোটা বিশ্বে সর্বজনবিদিত। ইস্টার্ন মিউজিক নিয়ে আজ বিদেশ থেকে অসংখ্য মানুষ জন পড়াশোনা করতে আসেন ভারতে। ভারতীয় বংশীর সুরের মাহাত্ম্য আমাদের কাছে সুপরিচিত মহাভারতের সময় থেকেই। শ্রীকৃষ্ণের হাতের শোভনীয় বাঁশরী কিংবা তার সুরমূর্ছনায় মদির হয়ে পড়তেন রাধিকা। যুগ যুগ ধরেই ভারতীয় বাঁশরীর মধুর সুরধ্বনি দেশ-বিদেশের মানুষকে করে তোলে পাগলপারা।
নেটদুনিয়ায় এই মুহূর্তে জনপ্রিয় বংশীবাদকদের মধ্যে অন্যতম হলেন ইন্দো-আমেরিকান বাঁশরী বাদক রসিকা শেকর। ৩২ বছরের এই বংশীবাদিকার ভারতীয় ক্ল্যাসিকাল মিউজিক ও গজলের উপরেও যথেষ্ট দখল। ২০১১ সালে উস্তাদ আমজাদ আলী খানের সঙ্গে গজল গাওয়ার সুযোগ পেয়ে সঙ্গীত জগতে হাতেখড়ি। রসায়ন ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে আমেরিকায় পড়াশোনা করলেও ভারতীয় সঙ্গীত বিদ্যার নেশায় ভারতেই অধিকাংশ সময়ে বাস করেন। বংশীবাদক হিসেবে ভারতীয় ক্লাসিক্যাল সুরের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় কর্ণাটিক সুর বাজাতেও সিদ্ধহস্ত তিনি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় রসিকার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলও রয়েছে। সুরকার হিসেবে কাজও করেছেন কয়েকটি দেশীয় ছবিতে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া রসিকার একটি পাঁচ মিনিটের কর্ণাটিক সুরের বংশীধুন অনাবিল আনন্দে ভরিয়ে তুলছে মানুষের মনকে। সারাদিনের ক্লান্তি ও পরিশ্রান্ত মেজাজকে চাঙ্গা করে তুলতে চোখ বন্ধ করে শুনুন সেই বংশীধুনের সুরটি।