Nandini Didi: ‘আমি পাগল হয়ে যাই’, কী এমন খাওয়ান নন্দিনী দিদির স্বামী!
‘নন্দিনী দিদি’ (Nandini Didi), এক বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি লাইমলাইটে উঠে এসেছিল নামটা। ইউটিউবের কল্যাণে ডালহৌসির অফিস পাড়ায় এক চিলতে ভাতের দোকান চালান মমতা গঙ্গোপাধ্যায় ওরফে নন্দিনী আজ ইন্টারনেট সেনসেশন। জিন্স টপ পরা, গলায় ব্লুটুথ হেডফোন ঝোলানো ঝকঝকে মডার্ন নন্দিনী দিদি লাইমলাইট কেড়ে নিতে বেশি দেরি করেননি। এক সময় তাঁর দোকানের সামনেই ইউটিউবারদের ভিড় উপচে পড়ত। এখন ক্রেজ খানিকটা কমলেও কাঙ্খিত সাফল্য পেয়ে গিয়েছেন নন্দিনী। নিজের রেস্তোরাঁও খুলে ফেলেছেন তিনি।
বর্তমানে ডালহৌসির দোকান ছাড়াও নিউটাউনে একটি দোকান খুলেছেন নন্দিনী দিদি। নাম দিয়েছেন ‘নন্দিনীদির হেঁশেল’। তবে ডালহৌসির দোকানটি কিন্তু উঠে যাচ্ছে না। সেই দোকানটিও একই ভাবে চালাচ্ছেন তিনি। নন্দিনী দিদির ডালহৌসির দোকানে বাঙালি থালি আইটেম পাওয়া যায়। সেসব পাওয়া যাবে এখানেও। ভেজ থালির সঙ্গে সঙ্গে ফিশ, চিকেন থালি থাকছে। তেমনি থাকবে পোলাও আলুর দম, পোলাও মাটন কারিও। সন্ধ্যার দিকে আরো কিছু বিশেষ পদ যোগ করা যেতে পারে।
কিন্তু যিনি নিজের হাতে রোজ রান্না করে পরিবেশন করে সবাইকে খাওয়ান, তিনি নিজে কী খেতে ভালোবাসেন? সম্প্রতি এক ইউটিউবারের কাছে এ প্রশ্নের জবাব দিলেন নন্দিনী। তিনি জানান, বাইরের হোটেলে তিনি বিশেষ খেতে পছন্দ করেন না। মায়ের হাতের যেকোনো খাবার, বিশেষ করে শীতকালে পাঁচমিশালী তরকারি তাঁর খুব পছন্দের। তাঁর বোন দারুণ ফ্রায়েড রাইস বানায়। শাশুড়ি মা খুব ভালো চিকেন বিরিয়ানি রাঁধেন।
নন্দিনী এও জানান, তার স্বামীও নাকি বেশ ভালো রান্না জানেন। বিশেষ করে বরের হাতে চিলি চিকেন খেলে তিনি পাগল হয়ে যান। বাড়িতেই যখন এত ভালো ভালো খাবার পাওয়া যাচ্ছে, তখন কেনই বা বাইরের খাবার খেতে যাবেন তিনি? তবে নন্দিনী দিদির হোটেলে অবশ্য বেশ ভালোই ভিড় হয়। অনেকে খেতে যান, আবার অনেকে যান ভিডিওতে ভিউয়ের জন্য।