নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে অসংখ্য যাত্রী, ভুতুড়ে জাহাজ ‘কুইন মেরি’ আজও এক রহস্য!
এক সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল টাইটানিক নামে এক বিলাসবহুল জাহাজ। চলচ্চিত্র জগতেও টাইটানিক নিজের জায়গা যথেষ্ট ভাবেই করে নিতে পেরেছিল। কিন্তু টাইটানিক দুর্ঘটনার মতন আরেকটি জাহাজও দুর্ঘটনার পরে কার্যত ভুতুড়ে জাহাজ এ পরিণত হয়, এই জাহাজটির নাম ‘কুইন মেরি’। সমুদ্রের বুকে হারিয়ে গিয়েছিলেন শত শত যাত্রী। জাহাজটি কেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল তা আজও যথেষ্ট রহস্যের। ১৯৩৬ সালের সমুদ্রের বুকে চলাচল শুরু করেছিল কুইনমেরি। অল্পদিনের মধ্যেই ক্যালিফোর্নিয়া যাতায়াতের জন্য এই জাহাজটি বেশ সুনাম অর্জন করেছিল।
তবে জাহাজটি প্রথম দিন থেকেই বেশ গন্ডগোলে ছিল। জাহাজটির বিশেষত্ব ছিল বৃহৎ, আধুনিক এবং বিলাসবহুল। তাছাড়াও সেই সময়ের সবচেয়ে দ্রুতগামী জাহাজের তকমা পেয়েছিল এটি। যাত্রা শুরুর দিন থেকেই জাহাজে ঘটতে থাকে নানান রকমের অদ্ভুত অদ্ভুত ঘটনা। কিন্তু এগুলোকে সবাই পাত্তা দেয়নি প্রথমদিকে। পাত্তা না দেওয়ার ফলে জাহাজের মধ্যে ঘটতে থাকে আরও বীভৎস ঘটনা। কুইন মেরির ইঞ্জিনরুমে কয়লা সরবরাহকারী এক ১৭ বছরের যুবক জানায় জাহাজের করিডোরে রোজ এক ছায়াকে বাঁশি বাজাতে শোনে। তাছাড়াও জাহাজের ডেকের উপর দিয়ে অনেকবার একটি ন-দশ বছরের বালিকাকে হেঁটে চলে যেতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, যাত্রীরা ও সুইমিংপুলে সাঁতার কাটার সময় সাদা পোশাক পরিহিতা সেই ৮-৯ বছরের বালিকাকে হেঁটে চলতে দেখেছেন।
তবে অনেক গবেষকরা মনে করেন, এর ভেতরে এমন ভুতুড়ে কান্ড হওয়ার কারণ হল এই জাহাজটিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছিল। একটি যুদ্ধজাহাজ একবার কুইন মেরিকে ধাক্কা মেরে ছিল। যার ফলে ‘কুইন মেরি’তে থাকা ৩০০ যাত্রী প্রাণ হারায়। তাই মনে করা হয় সেই সমস্ত মৃত যাত্রীর আত্মারা এই জাহাজে ঘুরে বেড়ান। ১৯৬৭ সালের ‘সিটি অফ লং বিচ’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান এই ভুতুড়ে রহস্য জনক জাহাজটিকে কিনে নিলেও এর মধ্যে ঘটতে থাকা রহস্যজনক কার্যকলাপ কিন্তু চলতেই থাকে। তাই শেষ পর্যন্ত তারা স্থির করে জাহাজটিকে ভেঙে ফেলবে। যদিও জাহাজটিকে পরবর্তীকালে হোটেলে রূপ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু হোটেল হওয়ার পরেও এই জাহাজের ভুতুড়ে কার্যকলাপ এতটুকু কমেনি। বিজ্ঞান যতই উন্নতি করুক এই ধরনের ঘটনার উত্তর এখনো রহস্যই থেকে যায়। (এই প্রতিবেদনটি প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটিস্টদের সমীক্ষা অনুযায়ী বর্ণিত, কোনোরকম ভীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের উদ্দেশ্য নয়।)