Hoop Life

এসি ছাড়াই ঘর ঠাণ্ডা রাখুন ৭টি বিশেষ কৌশলে

বাইরে চাঁদি ফাটা রোদ কিংবা বর্ষার ভ্যাপসা গরমেই ঘরে টিকে থাকাই দায় হয়ে উঠেছে সিলিং ফ্যান স্ট্যান্ড ফ্যান সব ফেল। অবশেষে এসি কেনা বা একটু সাশ্রয় করতে কুলার কেনা। এইসব ব্যবহার করে মাসে শেষে পকেট থেকে চলে যায় গাদাগাদা টাকা ইলেকট্রিক বিল দিতে। কিন্তু এসি ছাড়াই ঘর কে একেবারে এসির মতন ঠান্ডা করতে পারবেন কয়েকটা ঘরোয়া উপায়ে মেনে চললেই। জেনে নিন সেই উপায় গুলো কি কি –

১) ঘরকে ঠান্ডা রাখতে ঘরে-বাইরের দুপুরের কড়া রোদ কে কখনো ঘরে ঢুকতে দেবেন না। তাই মোটামুটি বারোটা সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করে দিন কিংবা জানালাতে মোটা পর্দা কিংবা খসখস লাগাতে পারেন। তবে খসখস কে মাঝেমধ্যে জল দিয়ে ভিজিয়ে ঠান্ডা করতে হয়।

২) রাত্রি বেলা শোবার সময় টেবিল ফ্যানকে জানলার ধারে লাগিয়ে রেখে শুতে যান যাতে বাইরের হাওয়া আপনার কাছে খুব সহজেই চলে আসতে পারে।

৩) টেবিল ফ্যানের সামনে এক গামলা ভর্তি বরফ এবং ঠান্ডা জলের বোতল রেখে দিলে ঘর অনায়াসেই ঠান্ডা হয়ে যায়।

৪) ঘরে বিনা কারণে টিভি, আলো, কম্পিউটার ইত্যাদি চালিয়ে রাখবেন না, এইসব চালিয়ে রাখলে বিল তো উঠবেই এমনকি ঘরের তাপমাত্রা অনেকটা বেড়ে যায়।

৫) স্বাভাবিকভাবে ঘরকে ঠান্ডা করতে ঘরের চারপাশে প্রচুর বড় বড় গাছপালা লাগান। যদি তেমন জায়গা না থাকে তাহলে ঘরের মধ্যেই প্রচুর ইনডোর প্লান্ট লাগাতে পারেন। যা আপনার ঘরের পরিবেশে অনেকটাই অক্সিজেন যোগাবে এবং ঠান্ডা ও দূষণমুক্ত করবে।

৬) ঘরের রং এবং জানলা দরজার রং সাদা বা হালকা রঙের করবেন। যাতে তাপ কম শোষিত হবে।

৭) ঘরে যথা সম্ভব পরিবেশবান্ধব জিনিস দিয়ে আসবাবপত্র বানানোর চেষ্টা করুন। প্লাস্টিকের আসবাবপত্র অনেক পরিমাণে তাপ শোষণ করে, যার ফলে ঘর গরম থাকে। প্লাস্টিকের আসবাব পত্রের জায়গায় নিয়ে আসুন কাঠের ফার্নিচার। কাঠের ফার্নিচার যদি অনেক বেশি দাম মনে হয়, তাহলে তার পরিবর্তে রাখতে পারেন বেতের ফার্নিচার। রংবেরঙের বাহারি প্লাস্টিকের মাদুর এর পরিবর্তে রাখতে পারেন সেকেলে ঠান্ডা শীতলপাটি। বাঁশের তৈরি এখন অনেক ফার্নিচার কিনতে পাওয়া যায় যা দেখতেও সুন্দর এবং ঘরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।

whatsapp logo