করোনার রোগী ভেবে এগিয়ে এলো না কেউই, অবশেষে মহিলার প্রাণ বাঁচালেন এই ডাক্তার
করোনার আবহে কতইনা ঘটনা ঘটছে চারিদিকে। যা সত্যিই অবাক করে তুলছে। তা কখনো কখনো মানুষের মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। করোনা নিঃসন্দেহে একটি ভয়ংকর অসুখ। এই অসুখ কাছাকাছি এলেই হয়ে যাবে। কিন্তু তা বলে মানুষের মধ্যে থেকে কি মানবিকতা কোথাও হারিয়ে যাচ্ছে? করোনা রোগী ভেবে সমাজে তাকে এক ঘরে করে দেওয়া উচিত নয়। অন্তত মনুষ্যসমাজের কাছ থেকে তা কাম্য নয়। কিন্তু এমন ঘটনা প্রতিদিন ঘটছে। মানুষের আচরণ ক্রমশ পাল্টে যাচ্ছে।
কিন্তু মুদ্রার উল্টো পিঠও আছে। রাস্তার ধারে পড়ে রয়েছেন এক ভদ্রমহিলা। হঠাৎ করেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন মাঝ রাস্তায়। ঘটনাটি ঘটেছে নাগেরবাজারের মোড়ে। কেউ ভদ্রমহিলার কাছে আসতে সাহস পাননি। প্রত্যেকের মনে ওই একটা ভয়। এ ভদ্রমহিলা করোনা আক্রান্ত নয় তো? কিন্তু এই ভয়কে জয় করে ঠিক তার পাশেই চেম্বারে থাকা রাজেশ রায়, নামের এক ডাক্তারবাবু তিনি কোনো রকম ভয় না পেয়ে, কোনো কিছুর তোয়াক্কা না করে, নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন এই মহিলাকে সুস্থ করতে।
কিছুক্ষণ পরে মহিলা সুস্থ হলে সেই মহিলাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন এই ডাক্তারবাবু মানুষটি। সব কিছু ঠিকঠাক হয়ে গেলে তিনি আবার নিজের চেম্বারে ফিরে যান। পৃথিবীতে এমন মানুষ আছেন বলেই তো পৃথিবীটা এখনো ধ্বংস হয়ে যায়নি। কথায় আছে সুখের সময় মানুষকে চেনা যায় না দুঃখের সময় পাশের মানুষটাকে ঠিক চিনতে পারা যায়। দুঃখে যদি কোন মানুষকে পাশে পাওয়া যায় তাহলে সেই প্রকৃত বন্ধু। এই চিকিৎসক সত্যই একজন সমাজ বন্ধুর মত কাজ করেছেন। করোনার আবহে প্রত্যেকের মধ্যেই একটা আতঙ্ক ঢুকে গেছে। সকলেই একটা মানসিক চিন্তায় ভুগছেন এই বুঝি তার করোনা হয়ে গেল। এ সবকিছু মেনে নিলেও মানবিকতা চলে যাওয়া বোধহয় উচিত নয়। কারণ সকলে একত্রিত হলে তবেই এই মারন ভাইরাসের বিরুদ্ধে জয় লাভ সম্ভব।