চা-বিক্রেতার মেয়ে আজ বায়ুসেনার পাইলট, গর্বে ফুলে উঠল বাবার বুক
সমস্ত প্রতিকূলতা পেরিয়ে স্বপ্ন পূরণ করল চা-বিক্রেতার মেয়ে আঁচল
কথায় আছে যদি নিজের ইচ্ছা থাকে তাহলে সব কিছু জয় করা সম্ভব। বহুবার বহু ঘটনাতে তা প্রমাণিত হয়েছে। এবার ও আরেক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। নিজের ইচ্ছেশক্তি ও পরিশ্রমের জোরে চা বিক্রেতা সুরেশ গঙ্গপালের মেয়ে আজ হয়েছেন বায়ুসেনার পাইলট। নিজের যদি মনের ইচ্ছে থাকে তাহলে সব প্রতিকূলতাকেই জয় করা যায়, তা ফের একবার প্রমান করল ২৪ বছরের আঁচল।
এই মেয়ে কিন্তু একেবারেই বায়ুসেনাতে যোগ দিতে পারেনি। টানা পাঁচবার ব্যর্থ হবার পরেও সে থেমে থাকেনি। ষষ্টবারের বেলাতে সুযোগ পায় সে। ২০০৩ সালে কেদারনাথ ঘটনায় সেনার ভূমিকা ফেলে আঁচলের মনের মধ্যে। আর তারপরেই বইয়ের দোকান থেকে খোঁজ নেয় কিভাবে বায়ুসেনাতে যোগ দেওয়া যায়। আর তারপরেই লড়াই শুরু করে আঁচল। দুন্দিগল এয়ারফোর্স একাডেমি থেকে বায়ুসেনার ফ্লায়িং অফিসার হয়ে উঠেছে আঁচল।
মেয়ের সেনায় যুক্ত হওয়াটা করোনার কারণে তার বাবা মা দেখতে পাননি। আক্ষেপ থাকলেও তারা দুজনেই খুব খুশি হয়েছেন। মেয়ের স্বপ্ন সত্যি হওয়াতে খুশি হয়েছেন বাবা। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান টুইট করে আশীর্বাদ ও শুভ কামনা করেছেন। ভোপাল থেকে ৪০০ কিলোমিটার দূরে নিমুচ জেলা উঠে এসেছে এই মেয়ে। বাবা বাস স্ট্যান্ডের চা বিক্রেতা। আর আজ সেই মেয়ে বায়ুসেনার ফ্লায়িং অফিসার।