প্রথম সন্তান মেয়ে হলে সংসারে সৌভাগ্য বয়ে আনে

Avatar

HoopHaap Digital Media

কন্যা সন্তান নিয়ে আজও নানারকম কুৎসার শেষ নেই, তবু জানেন কি এর বেশ কিছু সুফলও রয়েছে। অনেকেরই মেয়ে সন্তান হলে তাদের মন খারাপ হয়ে যায় আসলে বিষয়টি তেমনটি নয়। এবার বিজ্ঞানীরা এখন এই বিষয় নিয়ে অনেক গবেষণা করছেন। বড় মেয়েরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হন, কেন ঘরের বড় মেয়েরা এগিয়ে যেতে পারে এর পেছনে তারা কিছু তথ্য সংযোগ করেছেন। আসুন জেনে নেয়া যাক সে সকল তথ্য-

একই পরিবারের ছেলেমেয়ের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল ক্ষেত্রে ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ফলাফল ভাল দেখা যায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও নোবেল পুরষ্কার-প্রাপ্তদের মাঝে অর্ধেকের বেশি মানুষ পরিবারের বড় সন্তান। তবে এক্ষেত্রে ছেলেরা এগিয়ে থাকলেও ঘরের বড় মেয়েরা উচ্চাকাঙ্ক্ষী হয়। মেয়েদের মাঝে সবসময় একটি চাহিদা বিরাজ করে। তারা সবসময় একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে যায়।

আপনি বিজ্ঞানীদের একটু খোঁজ করলেই জানতে পারবেন যে নারী বিজ্ঞানীদের মাঝে অধিকাংশ তাদের পরিবারের প্রথম সন্তান। তারা বিভিন্ন কৃতিত্বের অধিকারী। বিজ্ঞানী জেন গুডঅল এর কথাই নেয়া যাক। তিনি একটি গরিলাকে রক্ষা করার জন্য নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে দেন।

প্রথম সন্তানের প্রতি সকল বাবা-মায়ের একটু বেশি ভালবাসা থাকে। তারা অনেক বেশি যত্নের অধিকারী হন। প্রথম সন্তান তার পরবর্তী ভাইবোনের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি পড়াশোনা করতে পারেন। তাদের আগ্রহও বেশি থাকে।

ফোর্বসের তথ্যানুযায়ী, প্রথম সন্তান নারী হলে তারা বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অ্যাঞ্জেলা মার্কেল, খ্রীস্টিন লাগারদে, শেরিল সান্ডবার্গ থেকে শুরু করে অপরাহ উইনফ্রে এবং বেওন্স এরা সবাই ফোর্বস তালিকায় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মহিলাদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। এরা সবাই তাদের প্রত্যেকের পরিবারের জ্যেষ্ঠ কন্যা।

এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজ ও অর্থনৈতিক গবেষণা ইন্সটিটিউট ফেইফেই বু একটি গবেষণার পর ফলাফলে জানান, পরিসংখ্যানগত হিসেবে জ্যেষ্ঠ কন্যারা তার ভাইবোনের চেয়ে আরও ভাল, উচ্চাকাঙ্ক্ষী এবং নিজেকে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলে। গবেষণায় আরও দেখা গেছে ভাইবোনের মধ্যে চার বছরের ব্যবধান থাকলে শিক্ষাগত যোগ্যতায় কনিষ্ঠ সহোদর এর স্তর উন্নতি হতে পারে। জ্যেষ্ঠ কন্যারা তার ভাইবোন এর চেয়ে কৃতিত্বের উচ্চ স্তর কেন ছুঁয়েছে সে হিসাবে অনেক ব্যাখ্যা আছে।

Avatar