ইঞ্জিনিয়ারিং এর উন্নতির সুবাদে এই প্রথম হেলিকপ্টার উড়ে যাচ্ছে অন্য গ্রহে. হেলিকপ্টারটি উড়ে যাবে মঙ্গল গ্রহের দিকে। ১.৮ কিলোগ্রামের হেলিকপ্টারে রয়েছে বহিরাগত প্রযুক্তি। দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি তে কর্মরত Ingenuity এর চিফ পাইলট হার্বাট গ্রিফ জানান, রাইট ব্রাদার্স তার ক্ষমতাকে পৃথিবীর প্রকৃতিতে নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। এই একই কাজ মঙ্গল গ্রহের মধ্যে করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গল গ্রহে পাঠানো হেলিকপ্টারটি কেমন, জেনে নিন সেটির সম্পর্কে
১) Ingenuity তৈরি হয়েছে মূলত পাঁচটি কার্বন ফাইবার ব্লেডের সাহায্যে, যা প্রায় গতিবেগ ২,৪০০ rpm, যা একটি যাত্রীবাহী হেলিকপ্টার এর চেয়ে অনেকটাই দ্রুতগামী। এর রয়েছে একটি অত্যাধুনিক সোলার সেল, ব্যাটারি। এটি কোন রকম বৈজ্ঞানিক উপকরণ বহন করছে না।
২) মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল এর পাতলা আস্তরণ এর জন্য এখানে হেলিকপ্টারটির অবতরণ, যা সত্যিই একটি সমস্যাজনক বিষয়। এ রকম পরিস্থিতিতে Ingenuity কে হালকা আকারে বানানো ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। রাত্রিবেলায় মঙ্গল গ্রহের তাপমাত্রা নেমে যায় -১৩০ ডিগ্রি ফারেনহাইট, বা -৯০ ডিগ্রী সেলসিয়াসে। Ingenuity এর দলের সদস্যদের বিশ্বাস করেন এত ঠান্ডা আবহাওয়াতেও এটি মঙ্গল গ্রহে গিয়ে ঠিকঠাক কাজ করবে।
৩) ২০১৪-২০১৯ এর মধ্যে JPLএর ইঞ্জিনিয়াররা মঙ্গল গ্রহের উপযুক্ত স্বল্প ওজনের এই এয়ারক্রাফটটি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন। যা মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়াতে সহজেই নিজেকে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হবে।
৪) ২০২১ সালের বসন্তকালে এই হেলিকপ্টারকে মঙ্গলের উদ্দেশ্যে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। এর প্রতিটি পদক্ষেপকেই নজরে রাখা হবে। মঙ্গলের মাটিতে এর অবতরণ, অত ঠান্ডার মধ্যে নিজেকে গরম রাখার ক্ষমতা, সৌর শক্তির সাহায্যে নিজেকে চার্জ দেওয়া এ সমস্ত দিকেই লক্ষ্য রাখা হবে।
৫) এই হেলিকপ্টারটির যদি সফল অবতরণ মঙ্গল গ্রহে হয়, তবেই এর ওপরে ভিত্তি করেই পরবর্তীকালে আরো নানান রকমের রোবটিক কিংবা হিউম্যান মিশন করার কথা ভাবনা চিন্তায় আসতে পারে।
JPL এর Ingenuity এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মিমি আংগ বলেছেন, “পৃথিবীর মাটিতে সমানে এই হেলিকপ্টারটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে, এখন শুধু এইটা দেখার প্রতীক্ষায় যে এটি মঙ্গল গ্রহে গিয়ে সেখানকার পরিবেশের সঙ্গে কতটা নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং বিষয়টি যদি সত্যিই সফল হয় তাহলে হয়তো ভবিষ্যতে খুব সহজেই একটি অন্য জগতের আবিষ্কার করা সম্ভব হবে।”