হাসপাতালের বিল মেটাতে না পারায় বৃদ্ধ রোগীকে বেঁধে রাখল কর্তৃপক্ষ!
আরও এক অমানবিক ঘটনার দৃষ্টান্ত ভারতের মধ্যপ্রদেশে। রক্ষকই যে ভক্ষক একথা হারে হারে প্রমাণ করে দিল মধ্যপ্রদেশের এই হাসপাতাল। হাসপাতালের বিল মেটাতে না পারায় বৃদ্ধকে বেঁধে রাখল কর্তৃপক্ষ! চিকিৎসার বিল বাবদ ১১ হাজার টাকা মেটাতে না পারায় বৃদ্ধ রোগীর হাত-পা দড়ি দিয়ে বেঁধে আটকে রেখেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও হাসপাতালের পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে বৃদ্ধকে বেঁধে রাখার ছবি এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে অনলাইন দুনিয়ায়।
মধ্যপ্রদেশের সুজাপুর জেলার রায়নগরের বাসিন্দা ওই বৃদ্ধের মেয়ে জানান, পেটে ব্যথা নিয়ে তার বাবাকে পাচদিন আগে বেসরকারি ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির সময় ৬ হাজার এবং গত বুধবার আরও ৫ হাজার রুপি হাসপাতালে জমা দেন তারা। এ খবর দিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। মেয়েটি জানান, তার বাবাকে শুক্রবার ছেড়ে দেওয়ার কথা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আরও ১১ হাজার ২৭০ রুপি দাবি করে।
তবে তারা দরিদ্র হওয়ায় আর রুপি দিতে পারবেন না বলে জানান। এরপরই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বাবাকে হাত ও পায়ে দড়ি দিয়ে হাসপাতালের বিছানার সঙ্গে বেধে রাখে। পরে রাতে স্থানীয় লোকজন ঘটনা জানতে পেরে তাকে সেখান থেকে ছাড়িয়ে আনে। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই বৃদ্ধকে বিলের জন্য বেঁধে রাখার কথা অস্বীকার করেছে।
ওই হাসপাতালের চিকিৎসক বরুণ বাজাজ দাবি করেন, ‘ওই বৃদ্ধ মৃগী রোগী। তাই ওষুধ বা ইনজেকশন দেওয়ার সময় যাতে আঘাত না পান, তাই তাকে বেঁধে রাখা হয়েছিল।’ তবে এ ঘটনা পৌঁছেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিররাজ সিং চৌহানের কানে। শনিবার তিনি সুজাপুর জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন ওই ঘটনা তদন্তের। অভিযুক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।