School Holiday: স্কুল খুলেই আবার ছুটি, শিক্ষার্থীদের পঠন-পাঠনে কতটা প্রভাব পড়বে!
প্রচন্ড গরমের মধ্যে আবহাওয়া দফতর থেকে সেই রকম ভাবে কোন খুশির খবর শোনানো হয়নি, তবে ১৪-১৫ তারিখ নাগাদ সামান্য বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায়। যার জেরে তাপমাত্রা কমতে পারে কিন্তু স্কুল খোলার পরেও আবার ছুটির কথা ঘোষণা করে দিল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল শিক্ষা দফতর, তবে কখনোই আর গরমের ছুটি বাড়ানোর প্রসঙ্গে কোনো ছুটি দেওয়ার কথা বলা হয়নি।
কেন আবার ছুটি?
এমনিতেই গরমের ছুটি এতদিন ধরে পড়ার জন্য পড়াশোনার ভীষণ ক্ষতি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। অভিভাবকদের একাংশ তো দাবি তুলেছিলেন মর্নিং স্কুল করে দেওয়ার জন্য, যেহেতু এখন প্রচন্ড ভ্যাপসা গরম তাই। তবে নতুন করে গরমের ছুটি পড়ার পক্ষে কোন অভিভাবকই নয়। এবার গরমের ছুটি নয়, বুধবার অর্থাৎ ১২ই জুন জামাইষষ্ঠীর উপলক্ষে সব ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এটা নতুন কোন কথা নয়, অনেক বছর ধরেই এমনটা পালন করা হচ্ছে। যাতে সরকারি কর্মচারীদের কোন অসুবিধা না হয়, বিদ্যালয়ের পঠন পাঠন করে তারপরে তারা যাতে জামাইষষ্ঠী পালন করতে যেতে পারেন, সেই রকমই ব্যবস্থা করা হবে। এখানেই শেষ নয়, তারপর সোমবার আবারও ছুটি রয়েছে, সোমবার বখরি ঈদ সেই উপলক্ষে ও বিদ্যালয় এর পঠন পাঠন বন্ধ থাকবে।
অতিরিক্ত গরমে বিদ্যালয়ে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচন্ড কষ্ট হতে পারে, কিন্তু তা বলে কি পড়াশোনা আবারও বন্ধ করে দেওয়া হবে? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এপ্রিল মাসেই ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এতটা গরম পড়েছিল যে নির্ধারিত দিনের আগেই ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় শিক্ষা দফতর। এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ থেকেই ছুটি ঘোষণা করা হয়। এপ্রিল মাস থেকে গরমের জন্য ছুটি চলছে, তবে গত ৩ তারিখ থেকে বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে তবে সেটা কখনোই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়।
পঠন পাঠনে কতটা প্রভাব পড়বে?
এদিন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারাই একমাত্র বিদ্যালয়ে গিয়েছেন, কারণ নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরে ঘরগুলি ক্লাস নেওয়ার উপযুক্ত ছিল না, সেখানে সেনাবাহিনীরা ছিলেন, যার ফলে বিদ্যালয়গুলি পরিষ্কার করতে অনেক সময় লাগতে পারে। সেই জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ১০ তারিখ থেকে বিদ্যালয়গুলি খোলা হয়েছে, একদিন ক্লাস হয়েও গেছে। স্কুল খুলেই আবারও হাফ ছুটি? পঠন পাঠনে কতটা প্রভাব পড়বে? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।