ভুলে যান দার্জিলিং, প্রকৃতির মাঝে থাকতে ঘুরে আসুন এই অফবিট পাহাড়ি জায়গাগুলি থেকে
শহরের একঘেয়ে কর্মব্যস্ত জীবন থেকে মাঝে মাঝেই বিরতি নিয়ে ইচ্ছা করে কোথাও থেকে ঘুরে (Travel) আসতে। বিশেষ করে ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির কাছে অন্যতম প্রিয় গন্তব্য হল পাহাড়। আর হাতের কাছে কম খরচে পাহাড়ের শোভা উপভোগ করতে সিকিম বা দার্জিলিংয়েই ছোটেন অধিকাংশ মানুষ। তবে এর যেমন ভালো দিক রয়েছে, তেমনি খারাপ দিকও রয়েছে। দার্জিলিং এর জনপ্রিয়তা বর্তমানে এতটাই বেড়ে গিয়েছে সব মরশুমেই সেখানে উপচে পড়ছে ভিড়। ফলত কাঙ্খিত শান্তি দূরস্ত, মাথা গোঁজার মতো হোটেলও পাওয়া হয়ে ওঠে দুরূহ। তাই এই প্রতিবেদনে খোঁজ রইল এমন কয়েকটি অফবিট পাহাড়ি জায়গার, যেখানে গেলে মন ভালো হতে বাধ্য।
মিরিক– মিরিকের নাম তো সকলেই শুনেছেন। ৫৪০০ ফুট উচ্চতায় চারিদিক পাহাড় এবং সবুজ চা বাগানে ঘেরা নিরিবিলি পরিবেশে নিমেষে মন ভালো হয়ে উঠবে। পাশআপাশি এখানকার বিখ্যাত মিরিক লেকও অন্যতম দর্শনীয় জায়গা। নৌকা বিহারেরও ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। এখান থেকে সমগ্র হিমালয় রেঞ্জের মনোমুগ্ধকর ভিউ পাওয়া যায়।
কালিম্পং– বাঙালি পর্যটকদের বড় প্রিয় কালিম্পং। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৪১০০ ফুট উচ্চতায় রয়েছে এই পাহাড়ি শহর। হিন্দু মন্দির থেকে বৌদ্ধ মঠ, প্রকৃতি এবং সংষ্কৃতির অপরূপ মেলবন্ধনে কালিম্পং আপনার মন কাড়বেই। বিশেষ করে এখানকার অর্কিডের সৌন্দর্য দূর দূর থেকে টেনে আনে পর্যটকদের।
লাভা লোলেগাঁও– নেওয়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যানের গভীরে অবস্থিত যমজ শহর লাভা এবং লোলেগাঁও। আপনি যদি পাখি প্রেমী এবং ট্রেকিং এ আগ্রহ রাখেন তাহলে লাভা লোলেগাঁও আপনাকে হতাশ করবে না। বিশেষ করে যদি বসন্তের সময়ে এখানে ঘুরতে যান তাহলে ঘন পাইন বন এবং রডোডেনড্রন আপনাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাবে।
কার্শিয়াং– ৪৮৬৪ ফুট উচ্চতায় সাদা অর্কিডের দেশ কার্শিয়াং পর্যটকদের জন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ডালি সাজিয়ে অপেক্ষারত। বিশাল চা বাগান, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে, ঔপনিবেশিক ভবনের মতো একগুচ্ছ আকর্ষণ ছড়িয়ে রয়েছে এই পাহাড়ি শহরটি জুড়ে। কার্শিয়াং ঘুরতে এলে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেনের সফরটা কিন্তু ভুলেও মিস করবেন না।
তিনচুলে এবং তাকদা– পাহাড়ি অফবিট জায়গাগুলির মধ্যে বর্তমানে তিনচুলে এবং তাকদা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বেশ কিছু হোমস্টে তৈরি হয়েছে এখানে। তিস্তা উপত্যকা এবং হিমালয়ান রেঞ্জের অপরূপ শোভা মুগ্ধ করবে পর্যটকদের।