Hoop Life

Hair Care Tips: অতিরিক্ত চুল পড়ার সমস্যায় হাতে তুলে নিন কারিপাতার টোটকা

কারি পাতা চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি পাতা। নিয়মিত কারি পাতার চাও সেবন করতে পারেন। শরীর ভেতর থেকে টক্সিন ফ্রি হবে, এবং শরীরে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বেড়ে যাবে। এছাড়াও কারি পাতাকে হেয়ার প্যাক হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। কারি পাতার ছোঁয়ায় চুল হবে, সুন্দর কালো কুচকুচে এবং ঘন। তাইতো দক্ষিণ ভারতীয় মহিলাদের চুল এত ঘন থাকে। কিন্তু হয়তো ভাবছেন, এই কারি পাতাকে কিভাবে ব্যবহার করবেন বা কতদিন এইভাবে ব্যবহার করলে চুল ওঠা বন্ধ হবে। দেরি না করে আমাদের Hoophaap এর পাতায় চটজলদি দেখে ফেলুন, কারি পাতা দিয়ে কিভাবে চুলের যত্ন করবেন।

জেনে নিন কারিপাতা ব্যবহার করলে চুল কেন ভালো থাকবে –

প্রথমত, চুল উঠা বন্ধ হবে – তাদের অতিরিক্ত পরিমাণে চুল উঠে যাচ্ছে, তারা কারি পাতা ব্যবহার করে দেখবেন, মাত্র ৭ দিন পর পর ব্যবহার করলে চুল ওঠা অনেকটা বন্ধ হয়ে যাবে।

দ্বিতীয়ত, নতুন চুল গজাবে – পুরনো চুল পড়ে যাচ্ছে, কিন্তু নতুন চুল গজাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে কারি পাতা ব্যবহার করে দেখুন অনেক ছোট ছোট চুল গজাবে।

তৃতীয়ত, চুল লম্বা হবে -চুলকে যদি অতিরিক্ত লম্বা করতে চান তাহলে কারিপাতা লাগাতে পারেন কারি পাতা। আর চালের জল ভালো করে মিশিয়ে যদি সপ্তাহে তিন দিন লাগাতে পারেন তাহলে চুল অনেক বেশি লম্বা হবে।

জেনে নিন কারি পাতার পাঁচটি হেয়ার প্যাক –

১) কারি পাতা, টক দই – কারিপাতা পেস্ট এর সঙ্গে টক দই কে খুব ভালো করে মিশিয়ে যদি সপ্তাহে তিন দিন ভালো করে চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগাতে পারেন, তাহলে চুল অনেক বেশি সুন্দর সিল্কি হবে।

২) কারিপাতা, অ্যালোভেরা জেল – কারিপাতা পেষ্টের সঙ্গে অ্যালোভেরা জেলকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত খুব ভালো করে লাগিয়ে তারপরে জলে ধুয়ে ফেলতে পারেন বা শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।

৩) কারি পাতা, নিমপাতা – কারি পাতা পেস্টের সঙ্গে নিমপাতা মিশিয়ে ভালো করে লাগাতে পারেন যাদের কাল্পে চুলকানি বা খুশকির সমস্যা আছে তারা এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

৪) কারি পাতা, লেবুর রস – কারিপাতার পেস্টের সঙ্গে পাতিলেবুর রসকে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগাতে পারেন, পাতি লেবুর রস খুশকির সমস্যাকে একেবারে দূর করে দেয়।

৫) কারিপাতা, মধু – কারি পাতার সঙ্গে মধু খুব ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় গোড়ায় লাগিয়ে নিন। শীতকালে অনেকেরই চুল রুক্ষ, শুষ্ক হয়ে যায় তারা এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন।

সতর্কীকরণ– উপরে উল্লেখিত কোনো উপাদানে অ্যালার্জি থাকলে ব্যবহারের আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এছাড়াও কোনোরকম সমস্যা এড়াতে আগে চিকিৎসকের সঙ্গে অবশ্যই কথা বলুন।