নব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধার হাতে স্টিয়ারিং, দিব্যি চালাচ্ছেন গাড়ি, নেটদুনিয়ায় প্রশংসার ঝড়
একসময় মেয়েদের একটি সীমানা বেঁধে দেওয়া হত যা ছিল মেয়েদের অনিচ্ছাকৃত। তাই মেয়েরা যখনই ফাঁক পেয়েছেন, সেই লক্ষ্মণরেখা পেরিয়ে গিয়েছেন। না, কোনো রাবণ তাঁদের তুলে নিয়ে যাননি। বরং মুক্তির এক ঝলক ঠান্ডা হাওয়া তাঁদের স্পর্শ করেছে। সম্প্রতি করোনা আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন হরিয়ানার ‘রিভলবার দাদি’। জীবনের শেষ প্রান্ত বলতে যা বোঝায়, সেই সময় ছিল দাদির প্রকৃত চলার শুরু। গম পেষাই করা হাতে বন্দুক ধরে জাতীয় স্তরে প্রতিনিধিত্ব করেছেন। এবার দেখা গেল আরও এক নব্বই বছর বয়সী বৃদ্ধাকে যিনি অবলীলায় শিখলেন গাড়ি ড্রাইভিং।
মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা এই বৃদ্ধার হাতে স্টিয়ারিং দেখে সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়। প্রকৃতপক্ষে সবাই জানেন, দিনের শেষে বাতের ব্যথায় কাতরানোটাই বোধহয় ষাট বছর হয়ে গেলে মেয়েদের প্রাপ্তি। সেখানে সারাজীবন ধরে কিছু পাওয়ার জন্য লড়াই করে জীবনের শেষ প্রান্তে উপনীত হয়ে স্বপ্নকে সার্থক করছেন মেয়েরা। কিছুদিন এক কেরলের এক নিরক্ষর বৃদ্ধা বার্ধক্যে এসে নিজের চেষ্টায় সাক্ষর হয়েছেন। বারাসতের একজন স্কুল ইন্ডিয়ার কথাও উঠে আসে এই প্রসঙ্গে।
রিটায়ার করার পর ষাট বছর বয়সে এই স্কুলশিক্ষিকা ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় স্তরে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। প্রবল নিয়মানুবর্তিতা ও ইচ্ছাশক্তি আজ তাঁকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।
ইদানিং ইউটিউব খুললেই দেখা যায়, আশি বা নব্বই বছর উত্তীর্ণা ঠাকুমা-দিদিমারা রান্না শেখাচ্ছেন, ভ্লগ করছেন। সবকিছুই যেন সেই সমাজের দিকে ছুঁড়ে দেওয়া নিংশব্দ প্রতিবাদ যারা অশিক্ষা ও কুসংস্কারে জর্জরিত হয়ে বলতে শিখেছিল “ মেয়ে, তুই কুড়িতে বুড়ি”।