এক তরুণীকে বাঁচাতে গিয়ে নিজে গুরুতর জখম হলেন, স্যালুট এই নারীকে
রাতের ঘোর অন্ধকারে গাড়ি থেকে ভেসে আসছিল এক তরুনীর আর্তনাদ। এই করোনার আবহে ইচ্ছা থাকলেও অনেকেই শুধুমাত্র ভয়ের জন্য এগোতে পারছিলেন না কিন্তু এই সমস্ত ভয় কে তুচ্ছ করে এই তরুণীকে উদ্ধার করতে ছুটে আসেন এক দম্পতি। গাড়িচালক এক ধাক্কায় তরুণীকে গাড়ি থেকে ফেলে দেয় কিন্তু ততক্ষনে চলে এসেছেন ওই মহিলা। চালক নিজের প্রাণ বাঁচাতে ওই মহিলাকে ধাক্কা দিয়ে তার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে চলে যায়। শনিবার রাতে এমন ঘটনাই ঘটেছে ই.এম বাইপাসের ধারে। গাড়িচালক ওই মহিলার পায়ের উপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার ফলে পায়ের হাড় ভেঙে টুকরো টুকরো হয়।
মায়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে ফিরছিলেন ওই দম্পতি। দ্বীপ শতপথী এবং মেয়েকে সাথে করে নিয়ে আসছিলেন নীলাঞ্জনা চট্টোপাধ্যায়। তারা যে আবাসন থেকে বেরোচ্ছিলেন সেই আবাসনের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়ি থেকে ওরকম আর্তনাদ শুনতে পান তারা। তারপর নীলাঞ্জনাকে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ঘটনাস্থলে আনন্দপুর থানার পুলিশ পৌঁছে সেই আহত তরুণীকে উদ্ধার করেন।
ওই তরুণী নয়াবাদ এলাকার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকেন। তিনি জলপাইগুড়ির বাসিন্দা। ওই ড্রাইভার এর নাম অমিতাভ বসু। পয়লা সেপ্টেম্বর এই ব্যক্তির সঙ্গে আলাপ হয় তার। শনিবার রাতে এই তরুণী এবং অমিতাভও দুজনে একসঙ্গে বেরোন। এই তরুণী তাকে অনুরোধ করেন তাকে ফ্লাটের সামনে নামিয়ে দিতে কিন্তু অমিতাভও রাজি হননি। অমিতাভও গাড়ির মধ্যেই তাকে যৌন হেনস্থা করেন। তার পোশাক ছিন্নভিন্ন। চোখেমুখে মারধরের চিহ্ন স্পষ্ট বোঝা যায়।
পুলিশ চেষ্টা করছেন সেই যুবককে ধরে ফেলতে। তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা তারা করছেন। কিন্তু এই নীলাঞ্জনা দেবী যে কাজটি করে দেখালেন তার কোন তুলনা হয় না। আরেকজন মেয়ের এরকম মারাত্মক বিপদে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়তে পিছপা হননি। তার মত নারীকে স্যালুট জানাতে হয়।