গোপনীয়তা নয়, জেনে নিন সঠিক কনডম কেনার সেরা গাইডলাইন
যেই সময়ের মধ্যে দিয়ে আমরা এখন এগিয়ে চলছি সেখানে ‘যৌনতা’ একটা অবাধ্যতায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বদ্ধ ঘরেই এখন যৌনতা থেমে নেই, যেখানেই প্রেম মৌখিক আদানপ্রদানের থেকে আরেকটু গভীরতা পেয়েছে সেখানেই শরীর একটা অন্যতম চরিত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমন অনেক সম্পর্ক আছে যেখানে শারীরিক সম্পর্ক খুবই দুর্বল এবং শত ঐশ্বর্য থাকা স্বত্বেও সেই সম্পর্কগুলি ভেঙে যায়। কারণ একটাই, যখনই আমরা আমাদের হরমোনের চাহিদা মেটাতে পারিনা তখনই আমাদের মধ্যে শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি হয়ে যায়। তাই স্বাস্থ্যকর যৌনতা কোন বিরিয়ানি বা পোলাও নয়, এটিও আমাদের রোজকার ডাল ভাতের মতো অত্যন্ত সাধারণ বিষয়। তাই আজ আমরা কথা বলব স্বাস্থ্যকর যৌনতা প্রসঙ্গে, যেখানে ‘কনডম’ একটা উল্লেখযোগ্য উপাদান। চলুন জেনে নিই সঠিক কোনডম কেনার সংক্ষিপ্ত গাইড।
কনডমের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। আগেকার দিনেও কনডম ব্যবহার হত। তবে আমাদের দেশে প্রথম দিকে কনডমের রমরমা ছিল না। যদি ইতিহাসের দিকে তাকাই তবে কলম্বাস যখন ১৫ শতকের শেষের দিকে সমুদ্রে অভিযান করেন, তখন তার নাবিকেরা ১৪৯৩ সালে পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জের হাইতি দ্বীপের প্যাসিওলা হলে ফিরিঙ্গি (ফিরিঙ্গি বা উপদংশ বা গর্মি বা সিফিলিস ) রোগে সংক্রামিত হয়ে ফিরিঙ্গি রোগের জীবাণু নিয়ে আসে। ফরাসী সম্রাট অষ্টম চার্লস ১৪৯৫ সালে ইতালি আক্রমণ করেন তখন ইতালিতে এই রোগ মহামারী আকার ধারণ করে। ঐ একই সময়ে লেপেলস এও ফিরিঙ্গি রোগ মহামারী আকারে দেখা দেয়। ফরাসি সৈন্য এবং তাদের সহযাত্রীরা জার্মান, সুইডেন, ফ্লেমিশগণ এই রোগের জীবাণু সমস্ত ইউরোপে ছড়িয়ে দেন। তবে এটি সর্ব প্রথম নৌবন্দরেই বিস্তার লাভ করে। অন্যদিকে এইডস রোগের সূচনা ঘটে মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার প্রাইমেটদের মধ্যে।
সুতরাং সবটাই বাইরের দেশ থেকে আগত। মুঘল থেকে ব্রিটিশ শাসন কালের মধ্যে বিভিন্ন ধরণের জটিল রোগের প্রবেশ ঘটে এই দেশে। যৌনতা একটা অন্য পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায়। আমাদের বিজ্ঞান বইতে সেক্স এডুকেশন বলে তেমন কিছুই নেই। সবটাই যেন ধোঁয়াশা। ফলে নীল ছবির প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে এবং বেড়েছেও। পাঠ্য বইয়ে থাকা লেখাগুলো খুবই অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়, বরং বোকা বাক্সের মধ্যে লুকিয়ে থাকা অবাধ্য যৌনতা আশ্রয় পেয়েছে আমাদের মগজে। ফলে বেড়েছে ক্রাইম, বেড়েছে কালো টাকা এবং অশ্লীলতা।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে ‘যৌনতা’ সীমাহীন স্পর্ধায় পরিণত হয়েছে, তাই কনডম ব্যবহার আবশ্যিক। এইডস হোক বা সিফিলিস বা গনোরিয়া এই সবকিছুর জন্য কনডম ব্যবহার অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কঠিন যৌন ব্যাধির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য উপযুক্ত ওষুধ হল কনডম। অনেক সময় এই কনডম গর্ভনিরোধক হিসেবেও কাজ করে। কন্ডোম সাধারণত ল্যাটেক্স, পলিইউরেথিন বা নাইট্রাইল নামের পদার্থ দিয়ে তৈরি। কন্ডোমের বাইরের গায়ে লুব্রিকেন্ট লাগানো থাকে। এই লুব্রিকেন্ট খুব সহজে ভ্যাজাইনাল ড্রাইনেস কাটিয়ে দেয় এবং সহবাসের পথকে মসৃণ করে দেয়। বিশেষ করে প্রথম সহবাসের সময় কনডম ব্যবহার করা উচিত। কারণ যদি ন্যাচারাল উপায়ে ভ্যাজাইনা থেকে লুব্রিকেন্ট না বেড়িয়ে আসে তবে সহবাসের সময় স্বাভাবিকের থেকে বেশি ব্যাথা অনুভব করতে পারেন, অন্তত সমীক্ষা এই কথাই বলছে। তবে অনেকেই আছে যারা মুখের লালারস ব্যবহার করে থাকেন, কিন্তু এই পদ্ধতি ক্ষণিকের জন্য কাজ করলেও লং লাস্টিং হয় না। তাছাড়া ওরাল সেক্সে প্রথম দিকে সকলে স্বচ্ছল থাকে না। তাই সব কিছুর জন্য কনডম অত্যন্ত উপযোগী একটি উপাদান।
লজ্জাকে দূরে রাখুন, আপনার সঙ্গীকে নির্দ্বিধায় বলুন কনডম ব্যবহারের কথা এবং আপনার সন্তান যদি কৈশোর পেরিয়ে যৌবনের দিকে এগিয়ে যায় তবে তাঁর কানেও তুলে দিন কনডমের ব্যবহার প্রসঙ্গে।