Lifestyle: সংসার বাঁচাতে এই ৫ কথা ভুলেও মুখে আনবেন না, তাহলেই কিন্তু ভাঙন নিশ্চিত
মনের মানুষকে পছন্দ করে আপনিই ঘরে এনেছেন বা তার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন, তাহলে কেন সেই সম্পর্ক বিরক্তি, রাগ, ঘৃণা এবং ডিভোর্স পর্যন্ত গড়াবে? যদি না পরকীয়া সম্পর্ক এসে ভাগ বসায়। আজ রইলো কিছু গুরুত্বপূর্ন টিপস্ সেই সকল স্বামী এবং স্ত্রীদের জন্য যারা আসলে সংসার বাঁচাতে চায় কিন্তু স্বভাবের দোষে তা রক্ষা করতে পারেন না। কী সেই টিপস্? চলুন দেখে নেওয়া যাক।
১) ঝগড়ার সময় বা আগে শারীরিক সম্পর্কের কথা আনবেন না – অনেকেই আছেন যে বিছানায় সঠিক পরিশ্রম দিতে পারেন না। শারীরিক দুর্বলতা বা চিন্তা এর জন্য দায়ী থাকতে পারে। অনেক সময়, সারাদিনের চরম খাটাখাটনি করার পর আর সঙ্গমে মন দিতে পারেন না। এতে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। সঙ্গীকে বুঝুন। বরং সপ্তাহ শেষে ছোট খাটো ট্যুর প্ল্যান করুন। মাঝে মধ্যে ঘরেই ক্যান্ডেল লাইট ডিনার এর ব্যাবস্থা করুন। কিন্তু, ‘তুমি পারো না সুখ দিতে’ এই ধরনের কথা কখনো বলবেন না।
২) অতীত নিয়ে নোংরা খেলায় মাতবেন না – অতীতে বিয়ে প্রেম থাকতেই পারে। সেইসব অতীত টেনে এনে বর্তমান নষ্ট করার কোনো মানে নেই।
৩) একে অপরের পরিবার নিয়ে অযথা কু কথা বলবেন না – অযথা স্ত্রী বা স্বামীর পরিবার নিয়ে নেগেটিভ মন্তব্য করবেন না। যদি কেউ খারাপ আচরণ করে সেই নিয়ে প্রতিবাদ করুন বা না করুন বা সঙ্গীকে জানান, সবই ঠিক আছে, কিন্তু অকারণে পর নিন্দা পর চর্চা একেবারেই নয়। এতে নিজের ইমেজ খারাপ হয়।
৪) আর্থিক খোটা একেবারেই দেবেন না – হতে পারে এখন আপনার সঙ্গী আর্থিক ভাবে দুর্বল। হয়তো আপনার শখ সে পূরণ করতে পারছে না। সম্ভব হলে নিজে কাজ করুন, শখ পূরণ করুন বা সঙ্গীকে উৎসাহ দিন।
৫) ইগোর লড়াই থেকে বিরত থাকুন, চুপ থাকুন – মাঝে মধ্যে চুপ থাকলে সম্পর্ক বাঁচে। পরিস্থিতি যত জটিল হোক না কেন ইগোকে প্রশ্রয় দেবেন না। “ভালোবাসি তোমায়” এই কথা বলুন বা কাজের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিন।