করোনার ভ্যাকসিন নিতে গেলে ছাড়তে হবে মদ, মাথায় হাত মদ্যপায়ী মানুষদের
সূত্রের খবর, নতুন বছরের জানুয়ারির মাঝামাঝি নাগাদ রাজ্যে চলে আসতে পারে করোনা ভ্যাকসিন। কিন্তু এই ভ্যাকসিন নিলে আপনাকে ত্যাগ করতে হবে মদ্যপানের অভ্যাস। বিশেষত যারা ইতিমধ্যে করোনার সঙ্গে লড়াই করে বাড়ি ফিরে এসেছেন তাঁদের জন্য অ্যালকোহল একদমই নিরাপদ নয় বলছেন গবেষকরা।
সাধারণ মদ্যপানের নেতিবাচক প্রভাব আমাদের সারা শরীর জুড়েই থাকে-লিভার, সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম, হজমক্ষমতা, অগ্নাশয়, হাড় ও মাংসপেশি, ইমিউনিটি, প্রজনন ক্ষমতা সবেতেই অ্যালকোহল তাঁর কু-প্রভাব ছেড়ে যায়। বিশেষত যারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন তাঁদের জন্যেও মদ্যপান অত্যন্ত ভয়ংকর।
যারা করোনার সঙ্গে লড়াই করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তাঁদের ইমিউনিটি বুস্ট করার জন্য পান করা উচিত দুধ এবং ভিটামিন সি জাতীয় ফলের রস। এর বদলে যদি কেউ মদ্যপান করেন তবে তা তাঁর স্নায়ুকে শিথিল করে দিতে পারে এবং রক্ত প্রবাহের বেগকে হ্রাস করে দিতে পারে। সাধারণত অনেকেই ভাবেন অ্যালকোহল খেলে শরীর গরম থাকবে। কিন্তু এই ধারনা ভুল। এই জিনিস সাময়িকভাবে যেমন স্নায়ুকে শিথিল করে দেয় তেমনই হৃদযন্ত্র বিকল করে দিতে পারে। অনেকের ধারণা ঠাণ্ডার সময় মদ্যপান করলে শরীর গরম হয়ে যায়। কিন্তু আদতে তা হয় না। পরিবর্তে শরীরের মূল তাপমাত্রা হ্রাস পায়। অ্যালকোহল মানুষের দেহে বেশ কিছু অনুভূতি কমিয়ে দেয়। যার ফলে মন ফুরফুরে লাগে। চিন্তামুক্ত থাকা যায়। এছাড়াও মদ্যপান শরীরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে রক্তনালীকে সংকুচিত করে দেয়। তাই মদ্যপান করোনায় আক্রান্ত হওয়া রোগীদের জন্য একদমই নিরাপদ নয়।
এছাড়াও গবেষকরা বলেছেন মদ্যপান মানুষের শরীরে অন্ত্রের মধ্যে থাকা মাইক্রোঅরগ্যানিজম রূপ বদলে দেয়। যার ফলে তা আর ব্যক্টেরিয়া বা ভাইরাসের সঙ্গে যুজতে পারে না। এমনকি রক্তে থাকা শ্বেত রক্তকণিকার কর্মক্ষমতা নষ্ট করে দেয়। এছাড়াও গবেষণা বলছে মদ্যপানের পর ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত একজন মানুষের রক্তে অ্যালকোহলের উপস্থিতি থাকে। শ্বাস-প্রশ্বাস ও মুত্রে উপস্থিতি থাকে ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। ফলে ভ্যাকসিন দেওয়া না দেওয়া সমান হয়ে যেতে পারে। তাই গবেষকদের সাফ নির্দেশ হল করোনার ভ্যাকসিন নিলে ত্যাগ দিতে হবে মদ্যপান।