Market Price: শীতের বাজারেও অগ্নিমূল্য সবজি! কতদিন পর কমবে পেঁয়াজ-রসুনের দাম?
বাংলায় এসে হাজির হয়েছে শীতকাল। আর এই শীতকাল মানে যেমন হুহু করে ঠান্ডায় কাঁপা, তেমনই এই শীতে খাবার পাতে কোনো আপোষ করতে চায়না বাঙালি। আর তেমনটা করতেও হয়না। কটন শীতকালে যেমন বাজারে আসে বাহারি ফল, তেমনই বাজারে অনেকরকম সবজির আমদানি ঘটে এই শীতকালেই। বাঁধাকপি, ফুলকপি, পালং শাক ও গাজর এখন সারাবছর পাওয়া গেলেও এগুলি মূলত শীতের সবজি। এছাড়াও এই সময় মুলো, শিম ও মটরশুঁটি পাওয়া যায় ব্যাপকভাবে। তাই সবজি খেতে যারা ভালোবাসেন, তাদের কাছে শীতকাল যেন স্বর্গসুখ বয়ে আনে।
এদিকে বিগত কয়েক মাসে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেন গোটা দেশে এক চরম সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। মশলাপাতি থেকে সবজি, মাছ-মাংস, চাল ও ডাল- সবকিছুর দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। বলা বাহুল্য, খুব অল্প সময়ে বেশি হারে ঘটেছে এই মূল্যবৃদ্ধি। শীতের শুরুতেই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির ছবিটা ধরা পড়েছে আমাদের রাজ্যেও। একইসঙ্গে মুদ্রাস্ফীতি ঘটছে দিনের পর দিন। আর এই সবকিছু মিলিয়ে যেন খেয়ে-পরে বেঁচে থাকাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল মধ্যবিত্তদের কাছে।
মাসখানেক আগে টমেটো, কাঁচালঙ্কা, রসুন ও আদার দাম বেড়ে গিয়েছিল আচমকা। সাধারণ মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গিয়েছিল এই জিনিসগুলি। তবে এর মধ্যে কাঁচালঙ্কা ও টমেটো র দাম এখন কিছুটা কমে এলেও এখন আবার চোখ রাঙাচ্ছে পেঁয়াজ, রসুন। একইসঙ্গে শীতের সবজি হলেও শিম, বেগুন ও মটরশুঁটির দামও এখন ঊর্দ্ধমুখী। কলকাতার বাজারে এখন পেঁয়াজের দাম রয়েছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। রসুন কিনলে প্রতি কেজিতে দাম দিতে হচ্ছে ৩০০ টাকা। অন্যদিকের দাম রয়েছে কেজিপ্রতি ৬০ টাকায়, মটরশুঁটি মিলছে প্রতি কেজিতে ১০০ টাকায়, শিমের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকা এবং বেগুন বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
কিন্তু কেন এই মূল্যবৃদ্ধি? জানা গেছে, রাজ্যে একের পর এক ঘূর্ণাবর্তের কারণে যে অনিয়মিত বৃষ্টি ও তাপমাত্রার উত্থান-পতন ঘটেছে, সেই কারণে রাজ্যে সবজির ফলন নিম্নমুখী হয়েছে। সেই কারণেই বাইরের রাজ্য থেকে সবকিছু এখন আমদানি করতে হচ্ছে। যেমন, বাংলায় রসুন আমদানি করা হয় মূলত মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মহারাষ্ট্র থেকে। সেখানেও এবছর ফলন কম হয়েছে। সেই কারণেই এই দামের বৃদ্ধি। তবে আগামী জানুয়ারি থেকে ফের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা বিক্রেতাদের।