Hoop StoryHoop Viral

পরিবেশ দিবসে দুঃসংবাদ! বিলুপ্তির পথে সাদা গন্ডার, চোরা শিকারিদের তাণ্ডবে বিপর্যস্ত বন্যপ্রাণ

গন্ডার মানেই একটা বড় কালো আকারের নাদুস নুদুস চেহারার প্রাণী সামনের দিকে এগিয়ে আসছে এমনটাই অন্তত আপনি ভাববেন। কিন্তু কালো গন্ডারের পাশাপাশি পৃথিবীর অন্যত্র ছড়িয়ে রয়েছে সাদা গন্ডার। তবে সেই সাদা গন্ডার আজ বিলুপ্তির পথে। চোরাশিকারিরা এদেরকে শিকার করে নিয়ে এদের শৃঙ্গ চুরি করে নেয়। যার ফলে বন্যপ্রাণ আজ বিপর্যস্ত। মানুষ ভুলে গেছে তাদের পাশাপাশি বন্যপ্রাণীদের ও স্বাধীনতা রয়েছে এ পৃথিবীতে সমান ভাবে বসবাস করার।

সাদা গন্ডারকে পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণী বলা হয় অর্থাৎ হাতির পরেই এদের স্থান। একজন পূর্ণবয়স্ক সাদা গন্ডার প্রায় ১.৫ মিটার উচ্চতা এবং ৩.৬ টন কেজি ওজন যুক্ত হয়ে থাকে। এদের জিভ আকারে চৌকো হয়। যদি কালো গন্ডারের সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যায় সাদা গন্ডারের গায়ে অনেক বেশি আঁশযুক্ত থাকে। মাথার দুদিকে লোমহীন দুটো শৃঙ্গ থাকে। সামনে শৃঙ্গটি সাধারণত ৬০ সেন্টিমিটার এর কাছাকাছি হয়। তবে কখনো কখনো ১৫০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে দেখা গেছে।

দক্ষিণ আফ্রিকাতে সাধারণত এই সাদা গন্ডার পাওয়া যায়। তবে ঊনবিংশ শতাব্দীতে এই প্রজাতিটিকে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ১৮৯৫ সালে এই এর মাত্র ১০০ টির মতন সাদা গন্ডার খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল সাউথ আফ্রিকার কাজুলু নাতাল এ। তবে সাধারণত দক্ষিণ আফ্রিকা, নাম্বিয়া, জিম্বাবোয়ে এবং কেন্যাতে এই সাদা গন্ডার দেখতে পাওয়া যায়। সাধারণত ছোট আকৃতির ঘাস খেয়ে থাকে। যখন গ্রীষ্মকালে অতিরিক্ত রোদের তাপ থাকে, তখন তারা ছায়াতেই বিশ্রাম নেয়। সাধারণত ভোরের দিকে বা রোদ পড়ে যাওয়ার কিছু পড়ে এবং সন্ধ্যেবেলা এদের দেখতে পাওয়া যায়।

তবে এটা শুধু সাদা গন্ডারকে নয়, আমরা এর আগেও দেখেছি চোরা শিকারিদের হামলায় মৃত্যু হয়েছে সাদা জিরাফের। এইভাবে কতইনা প্রাণী বিলুপ্তির পথে চলে যাচ্ছে দিনের পর দিন। মানুষের কীর্তিকলাপের জন্য বন জঙ্গল কেটে কংক্রিটের জঙ্গল বানানোর জন্য আজ এই অবস্থা হয়েছে বন্যপ্রাণীদের। তাদের বেঁচে থাকাই দায় হয়ে পড়েছে।

৫ লক্ষ বছর আগে সাদা গন্ডার প্রজাতিটি উদ্ভব হয়েছিল। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন,বরফ যুগ,ভূমিকম্প,উল্কাপাত,গ্রহের সামান্য এদিক-ওদিক ঘোরাফেরা সবই লক্ষ্য করেছে এই সাদা গন্ডারের প্রজাতিটি। শুধুমাত্র মানুষের কার্যকলাপের জন্য আজ পরিবেশের সাথে সাথে এইভাবে পরিবেশ থেকে মুছে যাচ্ছে পুরনো প্রজাতির জীবজন্তুরা। যা সত্যি বেশ চিন্তার বিষয়।

Related Articles