Aay Tobe Sohochori: সইয়ের জীবনে এন্ট্রি নেবে নতুন হিরো! ‘শ্রীময়ী’-র সঙ্গে মিল পেয়ে চলল ট্রোল
সতীনের পেটে স্বামীর সন্তান। সেই সতীন আবার মেয়ের বয়সী, থুড়ি বৌমার বয়সী। এটাও বলা যেতে পারে সেই সতীন হল বৌমার বোন। এদিকে যিনি গল্পের হিরো অর্থাৎ মহিলা হিরো তিনি সমস্ত প্রতিকূলতায় ঠান্ডা মাথায় মাত দেন। কখনো পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে বুড়ো বয়সে কলেজ যাচ্ছেন, কখনো ননদকে বিয়েতে রবীন্দ্রনাথের বই উপহার দিচ্ছেন তো কখনও স্বামীর লাম্পট্যকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য বিচ্ছেদ বরণ করে নিচ্ছেন। আশাকরি বুঝতেই পারছেন এই গল্প হল সহচরী সেনগুপ্তর গল্প।
স্টার জলসায় শুরু হয় ‘আয় তবে সহচরী’। অনেকদিন পর কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Koneenica Banerjee) দর্শকরা নিয়মিত উপভোগ করতে পারেন ছোট পর্দায়। আয় তবে সহচরী গল্পের শুরুতে দেখা যায় বৌমা শাশুড়ির মিষ্টি মধুর সম্পর্কের। শাশুড়ি বৌমা একে অপরের শত্রু নয়, বন্ধু হতে পারে সেই গল্প বলে এই ধারাবাহিক। এছাড়াও, শিক্ষার কোনো বয়স হয় না, এবং ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়, সেই মেসেজ পর্যন্ত দিয়েছে এই ধারাবাহিক। কিন্তু, এখন রীতিমত কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন গল্পের হিরো সহচরী। কিন্তু, কেন?
সতীনকে সাথ দেওয়া অপরাধ? নাকি আগত সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখা অপরাধ? নাকি স্বামী পরকীয়া করছে জেনেও তার সঙ্গ ছাড়া অপরাধ? গল্পে দেখা যাচ্ছে সহচরী পরিবার থেকে অপমানিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি, এদিকে সে চায় তার স্বামীর অবৈধ সন্তান পৃথিবীর আলো দেখুক ও দেবিনাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিক। বিয়ের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসে নতুন করে বাঁচতে চায় সহচরী, তাকে সাথ দেয় বৌমা বরফি। শাশুড়ি বৌমার মারকাটারি সম্পর্কের মধ্যেও কিছু দর্শক শ্রীময়ীর অনুকরণ খুঁজে পাচ্ছেন, আর তাতেই কটাক্ষের শিকার হচ্ছেন সহচরী তথা পুরো গল্প। কেন?
View this post on Instagram
স্টার জলসার পর্দায় কিছুদিন আগে পর্যন্ত সম্প্রচারিত হত ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’। সেই গল্পে শ্রীময়ী তার সতীন জুন আন্টির সন্তানকে মেনে নেয়, রাখতে চায় এবং স্বামীর ঘর ছেড়ে দ্বিতীয়বার বিয়ে করে সুখী হয়। এই গল্পেও বৌমা বরফি তার শাশুড়ির দ্বিতীয়বার বিয়ে দিতে চায় ও বেস্ট ফ্রেন্ড শাশুড়ি মাকে সুখী দেখতে চায়। ঠিক এইখানে দর্শকরা তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে। কেনো সহচরী দ্বিতীয়বার বিয়ে করবে? কেনো শ্রীময়ী গল্পের মতন রোহিত সেন পার্ট টু আসবে? যদিও যারা সহচরী গল্প দেখতে ভালোবাসেন তারা সহচরীকে সমর্থন করছেন, কিন্তু নিন্দুকরা তো নিন্দা করবেই, কারণ এখনও স্বামীর ব্যভিচার সামাজিক কিন্তু স্ত্রীর বলিদান অসামাজিক।