কয়েক বছর আগে ‘রসগোল্লা’ ফিল্মে চাঁদপানা মিষ্টির আবদার করেছিলেন তিনি। কিন্তু এবার অবন্তিকা (Abantika Biswas)-কে ভুলতে হবে তাঁর মিষ্টি দিনগুলি। কারণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে এবার দেখা যেতে চলেছে তাঁকে। অবন্তিকা তুলে ধরতে চলেছেন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা গার্হস্থ্য হিংসার কথা।
খুব শীঘ্রই অবন্তিকাকে দেখা যাবে অর্ণব মিদ্যা (Arnav Midya) পরিচালিত ফিল্ম ‘সেদিন কুয়াশা ছিল’-য়। ইতিমধ্যেই এই ফিল্ম নিয়ে যথেষ্ট চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Paran Banerjee)-র পরবর্তী প্রজন্ম, তাঁর নাতনী পৃথা বন্দ্যোপাধ্যায় (Pritha Banerjee)-কে প্রথমবার এই ফিল্মে তার দাদুর সাথে অভিনয় করতে দেখা যাবে। তিনটি প্রেক্ষাপটে সাজানো হয়েছে এই ফিল্মের কাহিনী। অবচেতন মনে চাপা ঘটনা যার রেশ থাকে মস্তিষ্কে অথচ ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না, সেই ধরনের ঘটনা নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘সেদিন কুয়াশা ছিল’-র কাহিনী।
ফিল্মের তিনটি কাহিনীর মধ্যে এখনও অবধি একটি কাহিনীর শুটিং শেষ হয়েছে। এই কাহিনীর মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিতু কমল (Jeetu Kamal)। তাঁর বিপরীতে অভিনয় করেছেন সায়ন্তনী গুহঠাকুরতা (Sayantani Guhathakurta)। তাঁদের বাবার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিলি চক্রবর্তী (Lily Chakraborty)। এই কাহিনীতে পরাণ ও লিলির নাতনীর চরিত্রে অভিনয় করেছে পৃথা। ‘সেদিন কুয়াশা ছিল’ ফিল্মে রয়েছে একটি বিশেষ চরিত্র যার মাধ্যমে দৃষ্টিগোচর হয় কাহিনীর গতি-প্রকৃতি। সেই চরিত্রে অভিনয় করছেন অবন্তিকা।
View this post on Instagram
অর্ণবের মতে, অবন্তিকার সারল্য এই চরিত্রের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অল্প সময়ের মধ্যে চরিত্রটি ছাপ ফেলে যায় পর্দায়। সমাজের অন্ত্যজ পরিবার থেকে উঠে আসা চরিত্রটির নাম লক্ষ্মীর মা। সে প্রতিদিন তার স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে। চরিত্রটি অতিথি শিল্পী হলেও তাঁর কাছে যথেষ্ট বড় চ্যালেঞ্জ বলে জানিয়েছেন অবন্তিকা। ফিল্মে তিনি বাড়ির পরিচারিকা। তাঁর লুক ক্রিয়েট করেছেন মেকআপ আর্টিস্ট ইউনিস (Yunis)। এর আগে ছোটবেলায় ইউনুসের সঙ্গে অনেকগুলি কাজ করেছেন অবন্তিকা।
‘সেদিন কুয়াশা ছিল’-য় অবন্তিকার লুক যথেষ্ট সাধারণ। গালে রয়েছে মারের দাগ, চোখে-মুখে যন্ত্রণার ছাপ। অবন্তিকা জানালেন, দৃশ্যে যে সময় তাঁকে দেখা যাচ্ছে, তার আগের দিন চরিত্রটির উপর তার স্বামী অত্যাচার চালিয়েছে। লক্ষ্মীর মা সব সহ্য করেও তার সন্তানদের নিয়ে জীবন যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এই কারণে অবন্তিকার অত্যন্ত কাছের হয়ে থাকবে চরিত্রটি।
অর্ণব জানিয়েছেন, এই ফিল্মে মিউজিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রণজয় ভট্টাচার্য (Ranojoy Bhattacharya) রয়েছেন সঙ্গীত পরিচালনার দায়িত্বে। ফিল্মের বিভিন্ন দৃশ্যের প্রকৃতি তুলে ধরা হয়েছে মিউজিকের মাধ্যমে। টালিগঞ্জের একটি বাড়িতে এই ফিল্মের শুটিং হয়েছে।
View this post on Instagram