মাত্র দুই সপ্তাহ হল বাবাকে হারিযেছে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের একমাত্র কন্যা ডল। অসীম সমুদ্রের মাঝে ডলকে একা ফেলে রেখে নিষ্ঠুরের মত চলে গিয়েছেন তিনি। মেয়েদের মনে বাবা এক বিশেষ জায়গা নিয়ে থাকে। সেই বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা প্রতিমুহূর্তে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে ডলকে। একরত্তি এই কিশোরী মেয়েটি এখনো এসবে ধাতস্থ হয়ে উঠতে পারেনি। আর সেটা না হওয়াই স্বাভাবিক। তবুও জীবন বহতা নদীর মত। থামতে নেই সময়ের স্রোতে ভেসে যেতে হয়। তাই স্বজনবিয়োগের মত ভয়ানক শোককে কাটিয়ে উঠে নতুন জীবন শুরু করতে যাচ্ছে বাবার আদরের মেয়ে, নয়নের মণি ডল অর্থাৎ সাইনা। মেয়েকে সবসময় চোখে চোখে রাখতেন প্রয়াত অভিনেতা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। স্ত্রী এবং কন্যা ব্যতীত তার আর কোন পিছুটান ছিল না। অভিষেক এবং সংযুক্তার একমাত্র কন্যা ডল দক্ষিণ কলকাতার একটি নামজাদা স্কুলে পঠনরত। অ্যানুয়াল পরীক্ষা দিয়ে ক্লাস সেভেনে উঠেছে সে। আজ ক্লাস সেভেনের প্রথম ক্লাস ডলের। ডলের বুকের মধ্যে হাহাকার নতুন ক্লাসের প্রথম দিনে বাবা তাঁকে গাড়ি করে স্কুলে পৌঁছে দেবে না।
জীবন তো আর থেমে থাকে না সকল শোক বিরহদহন কাটিয়ে নিজের পথে এগিয়ে যেতে হয় মানুষকে। ভালো করে পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে তাহলেই তার বাবা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় খুশি হবেন আকাশের ওপার থেকে। এমনটাই দৃঢ় লক্ষ্য দ্বাদশী সাইনার। এদিন অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের ফেসবুক পেজ থেকেই
বাবার ছবিকে জাপটে ধরে থাকা সাইনার এই হৃদয় বিদারক ছবিটি শেয়ার করেছেন সংযুক্তা চট্টোপাধ্যায়। যা দেখে নেটিজেনদের মন ভার। বাবাকে খোলা চিঠি লেখে কন্যা ডল। নতুন শুরুর জন্য বাবার আশীর্বাদ চেয়ে ডল লেখে, ‘প্রিয় বাবা, আমি ক্লাস সেভেনে প্রথমদিন স্কুলে যাচ্ছি, তোমার উপস্থিতি আমার খুব দরকার, আর আর্শীবাদও। আমি জানি তুমি সবসময় আমার সঙ্গে আছো। ইতি- তোমার আদরের ডল’। ডলের মা অর্থাৎ অভিষেকের স্ত্রী সংযুক্তা নিজের মেয়ের জন্য নেটিজেনদের কাছ থেকে আশীর্বাদ চান। তিনি লেখেন,সকলের কাছে প্রার্থনা, দয়া করে আপনাদের শুভেচ্ছা ও আশীর্বাদ জানান আমাদের মেয়ে ডলকে, আজ থেকে ওর ক্লাস সেভেনের যাত্রা শুরু হল’।
কিছুদিন আগেই সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে অভিষেকের কন্যা ডল জানিয়েছিলেন যে তিনি অভিনয়ে আসতে আগ্রহী। আজ থেকে তাঁর নতুন যাত্রা শুরু হলো। তাকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটিজেনরা। জীবনের সব বাধা যাতে মাথা উঁচু করে কাটাতে পারে বাবার আশীর্বাদে এই কামনায় করেছেন সকল সাইবার বাসী।