বাবা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের নয়ণের মনি ছিল মেয়ে ডল। স্ত্রী এবং কন্যা ছাড়া আর কিছু চিনতেন না অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে এই অভিনেতা ভালোবেসেছেন তার পরিবারকে। বাবা অভিষেকের মত মেয়ে ডলও ছিল বাবা অন্ত প্রাণ। বাবা ছাড়া জগতে কিছু বুঝত না সে। মা এখন তার একমাত্র সম্বল। কতদিন পরিস্থিতিতে মাকে বন্ধুর মতো আগলে আগলে রাখছে মেয়ে ডল। কারণ মাকে এখন আগলে না রাখলে তার হবেনা। মায়ের সমস্ত খেয়াল রাখছে মেয়ে।
মেয়ের সমস্ত ছোটখাটো ইচ্ছা পূরণ করতেন বাবা অভিষেক চট্টোপাধ্যায়। সব সময় আগলে আগলে রাখতেন তাকে। অভিষেক চট্টোপাধ্যায় এর মেয়ে এক রত্তি এক কিশোরী। মিষ্টি হাসি মাথায় চাইনিজ কাট চুল। মাত্র ১২ বছর বয়সেই বাবাকে হারানোর মতো কঠিন শোকের মুখোমুখি সে। যখন তার খেলার বয়স তখন সে শোকে মর্মাহত। বাবা যে মেয়েকে চোখে হারাতেন। কন্যা ডল যে তার প্রাণের কতটা কাছের ছিল তার মৃত্যুর আগে অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের শেষ কথাতেই বোঝা যায়। শেষ মুহূর্তেও মেয়ের খোঁজ নিয়েছেন তিনি। ২৪ মার্চ সবাইকে নাড়িয়ে দিয়ে প্রয়াত হয়েছেন অভিষেক। তার এই হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না ওটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। শোকে পাথর অভিনেতার পরিজন থেকে শুরু করে অনুরাগীরা।
সাইনা দক্ষিণ কলকাতার একটি অভিজাত প্রথম সারির স্কুলে পড়েন সাইনা। বাবা যেমন জীবনের শেষ দিন অবধি অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মেয়েও চান তিনি অভিনেত্রী হবেন। ডলের মা সংযুক্তা চান মেয়ে অভিনেত্রী হোক। বাবা অভিষেক সবসময় অভিনয় মঞ্চের সঙ্গে যুক্ত থাকুক। সাইনা শুধু অভিনয়ের সুযোগ খুঁজছেন এখন। বাবার মতো মেয়েও যে একজন গুণী এবং নামী মানুষ হবেন তা নিয়ে কোন সন্দেহের অবকাশ রাখেননি সংযুক্তা।
গতকাল রাতে অভিনেতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয়। এখানে টলিউড ইন্ডাস্ট্রির সকলে হাজির হয়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস,ছিলেন পরিচালক তথা বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী, অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরা, ঐন্দ্রিলা সেনরঅভিষেকের দীর্ঘদিনের বন্ধু কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, লাবণি সরকার, খড়কুটো পরিবারের অভিনেতা দুলাল লাহিড়ি, প্রতীক সেন ও সোনামণি সাহা। সবাই পৌঁছেছিলেন অভিষেকের পারলৌকিক কাজে।