Aparajita Adhya: ২৫ বছরের বিবাহিত জীবন নিয়ে যা লিখলেন অপরাজিতা
বিয়ের মধু মাসে অপরাজেয় অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। দেখতে দেখতে ২৫ টা বসন্ত পার করে ফেলেছেন সদা হাস্যময়ী অভিনেত্রী অপরাজিতা। কেরিয়ারের একেবারে গোড়ার দিকে একটি ধারাবাহিকে কাজ করতে গিয়ে আলাপ অতনুর সঙ্গে অপরাজিতার। কাজ থেকে বন্ধুত্ব, বন্ধুত্ব থেকে প্রেম। তবে অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে সেই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় লুকিয়ে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা। নবদম্পতির মধুচন্দ্রিমা কেটেছিল গ্যাংটকে। কিছুটা রূপকথার মতোই অপরাজিতার প্রেমের কাহিনী।
সেই অতনু অপরাজিতা দেখতে দেখতে ২৫ টা রঙিন বসন্ত পার করে ফেলেছেন একসঙ্গে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও তরতাজা হয়েছে সম্পর্ক। এদিন নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে একগুচ্ছ ছবি পোস্ট করেছেন তিনি।
লক্ষ্মী কাকিমা হয়ে যেমন চুটিয়ে দাপিয়ে সংসার করছেন অপরাজিতা, তেমন বাস্তব জীবনেও জমিয়ে সংসার করছেন তিনি। বিয়ের পর শ্বশুর বাড়িই ছিল সবকিছু। তাই অভিনেত্রী এখনও গর্বের সঙ্গে লিখতে পারছেন, ‘আজ রাত পোহালেই কেটে গেলো, ২৫ বছরের বিবাহিত জীবন। ওঠা পড়া আছে কিন্তু প্রতিঘাত নেই দিন গুলো কি ভাবে যে গেলো বুঝলামি না এই বাড়িতেই বয়সে ছোট্ট একটা মেয়ে কিন্তু সম্পর্কে সবার বড় সে আজ সত্যি সত্যিই সবার বড়ই হয়ে গেলো। যখন পরিবার টি তে এসে ছিলাম তখন আমায় নিয়ে আমরা ছিলাম চার জন… আজ আমরা গোটা পরিবার মিলে ১০০ জনের কিছু বেশি গুনতে নেই রোজই সংখ্যা টা বাড়ে তো তাও তো শ্বশুর মশাই আর দিদি শাশুড়ি চলে গেলেন এত তাড়াতাড়ির কি ছিল বাপু বুঝিনা। অনেক শিখেছি তার থেকেও বেশি পেয়েছি পাচ্ছি পেয়ে পেয়ে বুঝছি এখন সংসারে হিরো একজন ই হয় যে পুরোটাই কাঁধে নিয়ে হাঁটে সে হলো আমার শাশুড়ি মা নিজের ভালো লাগার থেকেও আমার ভালো লাগা নিয়ে উনি সদাই চিন্তিত কি আমার ভালো লাগলো না, কি আমি খেলাম না, সারাক্ষন.. কোনো দিনই ক্লান্তি দেখলাম না…. আমি যখন বলি মা আমার জন্য তোমার খুব জ্বালা উনি বলেন লক্ষী যেখানে ঝক্কি সেখানে….. তাই তো মা লক্ষ্মী আমাদের কুল দেবী….. ভাবছেন এত কিছু বললাম বর মশাই এর ব্যাপারে কিছু তো বললাম না ২৫ বছরের বিবাহ বার্ষিকী তে। ওটা নাহয় আমার মনেই থাক আর আপনারা ভেবেই নিন যার মা এরকম তার ছেলে কেমন হতে পারে….. আমাদের আশীর্বাদ করুন আমরা যেনো সবাই মিলে এমনি হেসে খেলে থাকতে পারি….. গুরু কৃপাহি কে বলম।’
ইদানিং খবরে প্রায় সময় বিচ্ছেদ, প্রেমে অবসাদ, এমনকি আত্মহত্যার খবর শোনা যাচ্ছে বেশি করে। এইসব ক্ষেত্রে অপরাজিতার বৈবাহিক জীবন একটা আদর্শ হতে পারে। সেও ইন্ডাস্ট্রির একজন। প্রতিষ্ঠাতা, সুন্দরী। এরপরেও স্বামীর সঙ্গে চুটিয়ে সংসার। তাহলে কি অপরাজিতা একজন আদর্শ স্ত্রীর উদাহরণ হতে পারে না?