গতকাল অর্থাৎ ১৮ই ফেব্রুয়ারি, বাংলার অভিনেতা তাপস পালের মৃত্যুদিন। নাহ, বাংলায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে পারেননি তিনি। মুম্বাইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালেই শেষ দিন অতিবাহিত করেন। মাত্র ৬০ পার করেই চলে যান তিনি। অনেকের কাছে সেদিন বেদনার হয়ে উঠেছিল, অনেকের কাছে শেষ দিন পর্যন্ত সমালোচিত হয়েছিলেন। অনেকে আজও তাকে মনে রেখেছে ‘দাদার কীর্তি’র জন্যে, অনেকে মনে রেখেছে ‘চন্দননগরের মাল’ এই কুকথার জন্য। তবে বলিউডের ধক ধক গার্ল মাধুরী দীক্ষিত মনে রেখেছেন অন্য কারণে।
১৯৮৪ সাল, তখন মাধুরী দীক্ষিত চেষ্টা করছিলেন বলিউডের হিরোইন হয়ে উঠতে। বলিউডে পা দেবেন, তখন একজন নবাগতাকে কেই বা বিশেষ পাত্তা দেবে? সেদিন পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দাদার কীর্তির ভোলা ভালা ‘কেদার’।
বলিউডের বাঙালি পরিচালক হীরেন নাগের হাত ধরেই মাধুরী প্রবেশ করেন বলিউডে। সেদিন মাধুরীর বিপরীতে ছিলেন তাপস পাল। বাংলা সিনেমায় সেইসময় জনপ্রিয় মুখ ছিল তাপস পালের। কারণ তার ঝুলিতে ছিল সাহেব, দাদার কীর্তি। বলিউডে সেদিন তাপস পালও নাম লেখান। মাধুরীর প্রথম ছবির সূচনা হয় বলিউডে, উল্টোদিকে টলিউড কাপিয়ে বলিউড মুখী হতে চেয়েছিলেন তাপস।
The loss of Tapas Paul who was one of the very first actors, I have worked with is felt by many. May God bless and comfort his family during this difficult period 🙏
— Madhuri Dixit Nene (@MadhuriDixit) February 18, 2020
তাপস ও মাধুরীর প্রথম ছবি তৈরি হল। নাম – অবোধ। এই অবোধ ফ্লপ করেছিল। অনেকেই ভেবেছিল মাধুরীর ক্যারিয়ার শেষ। কিন্তু মাধুরী হয়ে গেলেন বলিউডের ধক ধক গার্ল অন্যদিকে তাপসের আর বলিউড যাত্রা হলনা ঠিকই কিন্তু টলিউডে ফিরে ফের জমিয়ে কাজ শুরু করে দেন। গতকাল তার মৃত্যুর প্রথম বছর সম্পন্ন হয়, তাই তাপস স্মরণে মাধুরী করলেন ট্যুইট। লিখলেন, ” আমার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে তাঁর সঙ্গে অভিনয় করেছি। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে শোকাহত। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। পরিবারকে সমবেদনা জানাই। “