Kedarnath Tour: চারধাম যাত্রা এবার আরও সহজ, ২৮ বছর পর চালু হচ্ছে নতুন রেললাইন
হিমালয় সংলগ্ন তীর্থক্ষেত্রগুলিকে যুক্ত করার জন্য রেললাইন তৈরি করে দক্ষযজ্ঞ করতে চাইছে ভারতীয় রেল। সিকিমে যেমন গড়ে উঠছে সেবক রংপো হিমালয়ন রেলওয়ে। অন্যদিকে একটা বড়সড় কাজ হচ্ছে উত্তরাখণ্ডে, সেখানেও হিমালয় প্রবেশ করার জন্য সড়ক পথের ওপর বসানো হচ্ছে ঋষিকেশ কর্ণপ্রয়াগ রেললাইন। রেল কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী দু বছরের মধ্যে অর্থাৎ ২০২৬ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
কিন্তু কেন এই পদক্ষেপ জানেন?
চার পবিত্র ধামকে একসঙ্গে জুড়ে দিতেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ঋষিকেশ কর্ণপ্রয়াগ রেলরুটের দৈর্ঘ্য প্রায় ১২৫ কিলোমিটার। আর মাত্র দু বছর অপেক্ষা করলেই এই পরিকল্পনা একেবারে শেষ হয়ে যাবে। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, এই ১২৫ কিলোমিটার রেল লাইনের মধ্যে ১০৫ কিলোমিটার রয়েছে। এছাড়াও এই জায়গাতে ১৬ টি রেল সেতু আর চারটি ছোট রেল সেতু তৈরি করা হচ্ছে।
২৮ বছর ধরে অপেক্ষার অবসান
প্রায় ২৮ বছর ধরে আলোচনার শীর্ষে রয়েছে এই ঋষিকেশ কর্ণপ্রয়াগ এর মধ্যকার রেললাইনের কাজ। ১৯৯৬ সালে যখন সাতপাল মহারাজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন তখন থেকেই শুরু হয়, জল্পনা কল্পনা তারপর জমি জরিপের বাইরে কাজ এর বাইরে আর কিছু এগোয়নি। তারপর ২০১৪ সালের পর থেকে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সরকার গঠনের পর থেকেই এই প্রকল্পটি বেশ এগিয়ে চলে। ২০১৫ সালের রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে, তারপরে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার পর চারধাম যাত্রা আরো সহজ হয়ে যাবে বলেই জানানো হচ্ছে।
আর ধারণা করা হচ্ছে, যে এই রেললাইন একবার তৈরি হয়ে গেলে যমুনোত্রী, গঙ্গোত্রী, বদ্রীনাথ, কেদারনাথ যাত্রা পর্যটকদের কাছে অনেকটাই সহজ হবে। শুধুমাত্র পর্যটক বা বাসিন্দারাই নয়, এই পথ দিয়ে যাতায়াত করতে সুবিধা হবে। রেলপথ একবার তৈরি হয়ে গেলে যে যাত্রায় সময় লাগতো প্রায় ৬ ঘন্টা সেই সময় কমে আসবে, মাত্র দু ঘন্টায় সেনাবাহিনীদেরও কারণ এই রেললাইন নির্মাণ হওয়ার পর চীন সীমান্তে সেনাবাহিনী বা সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো আরো বেশি সহজতর হবে, বলে জানানো হচ্ছে কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে।
এই রেললাইনের মধ্যে যে দীর্ঘতম টানেলটি আছে তা ১৫.১ কিমি লম্বা। এটি দেবপ্রয়াগ এবং লছমোলির মধ্যে রয়েছে। এই রেলপথে মধ্যে আছে ১২টি স্টেশন, ১৭টি টানেল এবং ৩৫টি সেতু।
কোন কোন স্থানে রেলস্টেশন তৈরি হবে?
রেলস্টেশন হচ্ছে ঋষিকেশ, যোগ নগরী ঋষিকেশ, শ্রীনগর, তেহরি, শিবপুরি এবং ব্যাস, পাউরির দেবপ্রয়াগ এবং ডুংরিপন্থ, রুদ্রপ্রয়াগ জেলার রুদ্রপ্রয়াগ এবং ঘোলতীর এবং চামোলি জেলার গউচর ও কর্ণপ্রয়াগ।