রেমালের পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম কি? কোন দেশ নামকরণ করবেন জানেন কি?
প্রতিবছর মে মাসে বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় এসে গোটা পশ্চিমবঙ্গকে একেবারে তছনছ করে দিয়ে যায়। প্রত্যেকটা আলাদা আলাদা ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়, আলাদা আলাদা দেশ কিন্তু কি হিসাবে এই আলাদা নামকরণ কেনই বা একেকটা দেশের উপরে বর্তায় এই ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করা? জানেন কি? সম্প্রতি যে দুটি ঝড় বেশ পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন সংলগ্ন বিভিন্ন জায়গাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল তাদের মধ্যে দুটি ঝড় হল আয়লা আর আমফান।
পরবর্তীকালে যে ঝড় আছড়ে পড়েছিল তার নাম অশনি, এই অসনে নামটি দিয়েছিল সেই শ্রীলঙ্কা সিংহলি ভাষায় এর অর্থ হল ক্রোধ। এই নামগুলো নির্ধারণের দায়িত্ব দেওয়া হয় একেকবার একেকটা দেশের ওপরে কিন্তু এই দেশরা কোন কিসের ভিত্তিতে এই নামগুলি তৈরি করে জানেন নাম তৈরি করার সময় খেয়াল রাখতে হয় নামগুলি যেন সংক্ষিপ্ত হয় এবং খুব সহজেই উচ্চারণ করা যায় যাতে এই নামগুলি খুব সহজেই বিভিন্ন গ্রামে গঞ্জের মানুষ উপকূলীয় ঘাঁটিতে থাকা মানুষ এছাড়া সমুদ্রের জাহাজের মধ্যে থাকা মানুষের মধ্যে খুব সহজেই পৌঁছে যাওয়া যায়।
একবার যদি কোনও একটি নাম নির্দিষ্ট ঝড়কে বোঝাতে ব্যবহার হয়, তবে পরে আর ওই নাম অন্য কোনও ঝড়কে বোঝাতে ব্যবহার করা হয় না। একবার একটা ঝড় হয়ে যাওয়ার পরে সেই নাম আর পরের বারে সত্যিই দেওয়া হয় না, এর জন্য নতুন নতুন নাম ব্যবহার করা হয়। ২০২০ সালে, ১৩টি দেশের দেওয়া ঝড়ের ১৬৯টি নামের নতুন একটি তালিকাও প্রকাশ করেছে। এর আগে ৮টি দেশের ৬৪টি নাম ব্যবহার হয়েছে। ভারত যে নামগুলো দিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ‘গতি’, ‘ মেঘ’, ‘আকাশ’।
বাংলাদেশ দিয়েছে ‘অগনি’, ‘ হেলেন’ এবং ‘ফনী’।পাকিস্তান দিয়েছে ‘লায়লা’, ‘নার্গিস’ ও ‘বুলবুল’, ‘অশনি’ ‘সিত্রং’। ভবিষ্যতে ঘূর্ণিঝড়ের যে নামগুলো ব্যবহার করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে ভারতের ভবিষ্যতে যে নামগুলি ব্যবহার করা হবে তার মধ্যে রয়েছে ভারতের ‘ঘূর্ণি’, ‘প্রবাহ’, ‘ঝড়’ এবং ‘মুরাসু’। বাংলাদেশের ‘বিপর্যয়’, সৌদি আরবের ‘আসিফ’, ইয়েমেনের ‘দিকসাম’, ইরানের ‘তুফান’, এবং শ্রীলঙ্কার ‘শক্তি’। তবে রেমালের পরে পরবর্তীকালে যে ঝড় আসবে তার নাম ‘আসনা’। এর নামকরণ করেছে পাকিস্তান।