রাজ্যে আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটেছে গত সপ্তাহ থেকেই। গত ৩ থেকে ৪ দিন তুমুল বৃষ্টিপাত হয়েছে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। শহর কলকাতাও ভিজেছে অশ্বিনের শুরুতে। স্বভাবতই সেপ্টেম্বরের শেষে গরম থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেয়েছিল আপামর রাজ্যবাসী। বৃষ্টির আকালের মাঝেই বঙ্গপোসাগর তৈরি ঘূর্ণাবর্তের কারণেই মৌসুমী অক্ষরেখা সক্রিয় হয়, যার প্রভাবে দিন পাঁচেক বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয় রাজ্যজুড়ে। তবে সপ্তাহের শেষে ফের পরিবর্তন ঘটতে চলেছে আবহাওয়ার। মেঘ কেটে ফের রোদের দাপট শুরু হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে।
কিন্তু এর মাঝেই আবহাওয়া দফতর আচমকা হাওয়া বদলের পূর্বাভাস দিল দক্ষিণবঙ্গের চার জেলাতে। কয়েকঘন্টার মধ্যেই বদলে যাবে এই চার জেলার আবহাওয়া। আকাশ ঘনিয়ে আসবে কালো মেঘে। বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা তৈরি হবে এই চার জেলায়, এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। আর সেই কারণেই আজ বিকেলের পর থেকে এই চার জেলায় তুমুল বৃষ্টিপাত এবং বজ্রবিদ্যুতের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে।
মৌসম ভবনের তরফে একটি সতর্কবার্তা প্রকাশ করে হলে হয়েছে যে আজ বিকেলে থেকেই কয়েকঘন্টার জন্য দুর্যোগের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। এই চার জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি হয়েছে। তাই বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে জেনেও বাইরে বেরোনো ঠিক হবে না। রাস্তায় বেরিয়ে এমন পরিস্থিতির মধ্যে পড়লে চেষ্টা করতে হবে যাতে কোনও নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়া যায় দ্রুত। যদি কোনও নিরাপদ আশ্রয় না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পাহাড়, পর্বত বা উঁচু এলাকা থেকে নেমে যেতে হবে।
বজ্রপাত থেকে বাঁচতে হলে এই সময় মাঠে কাজ করলেও বাড়ির পথ ধরতে হবে যত দ্রুত সম্ভব। না হলে মাঠে বসে পড়তে হবে শরীর গোল করে গুটিয়ে। কোনও ভাবেই মাটিতে সোজা হয়ে দাঁড়ানো যাবে না। মাথা নিচু করে হাত-পা গুটিয়ে রাখতে হবে। যেন শুধু পায়ের আঙুলগুলো মাটি স্পর্শ করে। বজ্রপাতের সময় এক জায়গায় অনেকে জড়ো হওয়া যাবে না। একে অপরের থেকে দূরে থাকতে হবে। পুকুর, হ্রদ, সুইমিং পুল, সমুদ্র সৈকতের মতো জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। যদি বাড়ির ভিতরে বজ্রপাত হয়, তাহলে স্মার্টফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ডিভাইস ব্যবহার করা ঠিক নয় এই সময়।