Hoop News

Weather: দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই তুমুল বৃষ্টির পূর্বাভাস! কতদিন পর ঝলমলে রোদের দেখা মিলবে?

বাড়ির ভেতরে থাকলে মনে হচ্ছে শীতকাল, আর বাইরে বেরোলেই আবার বর্ষার মতো আবহাওয়া। ডিসেম্বরের শুরুতেই এ যেন এক বিরূপ আবহাওয়া। যেখানে শীতের সকালে চাদর গায়ে চড়িয়ে মিঠে রোদ গায়ে মেখে চায়ের পেয়ালায় চুমুক দেয় বাঙালি, সেখানে এখন বের করতে হচ্ছে ছাতা-রেনকোট। গত পরশু থেকেই এমন আবহাওয়া রয়েছে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায়। আর আজ সকাল থেকে কার্যত দুর্যোগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে।

গত পরশু ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ ল্যান্ডফল করেছে অন্ধ্রপ্রদেশের উপকূলীয় এলাকায়। তার প্রভাবে পরশু থেকেই হালকা বৃষ্টি শুরু হয়েছে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া সহ একাধিক পশ্চিমের জেলায়। তবে আজ সকাল থেকে সেই পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। কারণ আজ সকাল থেকে একাধিক জেলায় চলছে মুষলধারে বৃষ্টি। এই অবস্থায় তাপমাত্রার পতন না ঘটলেও রোদ-বিহীন আকাশে ঠান্ডায় জুবুথুবু দক্ষিণবঙ্গ। এই আবহাওয়া আর কতদিন চলবে? জেনে নিন এই নিবন্ধ থেকে।

■ কলকাতার আবহাওয়া: আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী আজ কলকাতায় হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। আজ শহরের আকাশ পুরোপুরি মেঘলা থাকবে। আজ কলকাতার বুকে সর্বোচ্চ ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা অনুভূত হবে। মেঘলা আকাশ থাকার কারণে ঠান্ডা কিছুটা বেশি অনুভূত হবে শহরে।

■ দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: আজ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় রয়েছে বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। আজ পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। পাশাপাশি আজ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, বাঁকুড়া, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, নদিয়া জেলায়। বৃহস্পতিবার অবধি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। এই বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রার পতন সেভাবে হবেনা বলেই মিলেছে পূর্বাভাস।

■ উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া: আজ উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও রয়েছে বৃষ্টির পূর্বাভাস। আজ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। পাশাপাশি, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি জেলায়। আগামী ৩-৪ দিনে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রা প্রায় একই রকম থাকবে। সেইসঙ্গে আজ থেকেই শীতের প্রভাব অনুভব করবেন উত্তরবঙ্গবাসী।

Related Articles