খুব শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’। আবারও ছোট পর্দায় ফিরছেন অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)। কিন্তু তাঁর সাথেই ফিরছেন দ্বিতীয় প্রধান নারী চরিত্র শার্লি মোদক (Sharly Modak)। টানা এক বছর কর্মহীন থাকার পর আবারও ফিরছেন স্বমহিমায়।
এক বছর কাজ ছিল না। টানা এক বছর কাজ করতে করতে বসে যাওয়ার ফলে ঘিরে ধরেছিল মানসিক অবসাদ। কিন্তু তবুও অবসাদে ডুবে না গিয়ে শরীরচর্চা করেছেন। বাড়তি মেদ ঝরিয়ে নিজের গ্রুমিং করেছেন। এছাড়াও নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন রান্নাবান্না করে, ঘর গুছিয়ে। এগুলি শার্লির অন্যতম শখ। প্রেমিকের সাথে, পরিবারের সাথেও প্রচুর আড্ডা দিয়েছেন তিনি। তবে কাজের অফার ছিল না, এমন নয়। একটি চ্যানেলের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন শার্লি। ফলে ডাক পেলেও কাজ করতে পারেননি। অবশ্য কিছু কাজ তাঁর পছন্দ হয়নি। চ্যানেল থেকে প্রতি মাসের নির্দিষ্ট দিনে তাঁকে পারিশ্রমিক দেওয়া হত। বলা হয়েছিল, নতুন ধারাবাহিক এলে ডাকা হবে। কিন্তু চুক্তি ফুরিয়ে গেল অথচ ডাক এল না। ইতিমধ্যেই জি বাংলার ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’-এর জন্য সিলেক্টেড হলেন শার্লি।
View this post on Instagram
দিনের পর দিন বসে থেকেছেন শার্লি। ওই চ্যানেলে একের পর এক নতুন সিরিয়াল এসেছে। কেউ ডাকেননি। তবু নিজেকে অযোগ্য মনে করেননি তিনি। কোনো হিংসেও হত না। জানতেন, একদিন আবারও সুযোগ আসবে। ‘লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার’-এর যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করছেন শার্লি। লক্ষ্মীকাকীমার জীবনের সমস্যার সমস্ত সমাধান হবে তাঁর হাত দিয়েই। কিন্তু রোজ অভিনয় করা প্রশিক্ষণের মতো। ফলে এত দিন পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে হাত -পা কাঁপছিল, নার্ভাস লাগছিল। কিন্তু কাজ করতে করতে আবারও সব স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে। তবে প্রথম দিন দেবশঙ্কর হালদার (Debshankar Halder), অপরাজিতার নাম শুনে রীতিমত চমকে গিয়েছিলেন শার্লি। কারণ তাঁরা একশো শতাংশ নিখুঁত। কিন্তু তাঁদের অভিনয় দেখে খুঁটি-নাটি শিখেছেন শার্লি। তার জন্য প্রযোজক সুশান্ত দাস (Sushanta Das)-কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
এক বছরে যখন কাজ ছিল না , সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেককেই ‘স্টক’ করতেন শার্লি। তখন জানতে পেরেছেন অনেক কিছুই। শার্লির প্রেমিক তাঁকে মানসিক দিক থেকে শক্ত করেছেন। মনের জোর বাড়িয়েছেন। তবে বিয়ে নিয়ে এখনই তাঁদের কোনও তাড়াহুড়ো নেই। বরং বিগত এক বছরে অনেক পাকাপোক্ত হয়েছে তাঁদের সম্পর্কের ভিত।
View this post on Instagram
