রাজ্যজুড়ে ফের তীব্র গরম, আবারো কি স্কুল বন্ধ হতে পারে? আমরা প্রত্যেকেই জানি কেরলে এবং উত্তরবঙ্গে একই সময় অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ের একদিন আগেই বর্ষা প্রবেশ করে গেছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে এখনো বর্ষা প্রবেশ করেনি, উত্তরবঙ্গে আটকে রয়েছে। যার ফলে দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরম তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্কুল আজকে অর্থাৎ সোমবার থেকে খুলে গেল। এই ভ্যাপসা গরম থেকে রক্ষা পেতে আবারও কি বিদ্যালয় ছুটি দেওয়া হবে? কি বলছে শিক্ষা দপ্তর?
স্কুল ছুটির প্রসঙ্গ কেন?
অতিরিক্ত গরমে বিদ্যালয়ে গেলে ছাত্র-ছাত্রীদের প্রচন্ড কষ্ট হতে পারে, কিন্তু তা বলে কি পড়াশোনা আবারও বন্ধ করে দেওয়া হবে? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার পড়ুয়াদের স্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে এপ্রিল মাসেই ছুটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এতটা গরম পড়েছিল যে নির্ধারিত দিনের আগেই ছুটি ঘোষণা করতে বাধ্য হয় শিক্ষা দপ্তর। এপ্রিল মাসের ২২ তারিখ থেকেই ছুটি ঘোষণা করা হয়। এপ্রিল মাস থেকে গরমের জন্য ছুটি চলছে, গত ৩রা জুন থেকে বিদ্যালয় খুলে দেওয়া হয়েছে তবে সেটা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য নয়।
এদিন থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারাই একমাত্র বিদ্যালয়ে গিয়েছেন, কারণ নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পরে ঘরগুলি ক্লাস নেওয়ার উপযুক্ত ছিল না, সেখানে সেনাবাহিনীরা ছিলেন, যার ফলে বিদ্যালয়গুলি পরিষ্কার করতে অনেক সময় লাগতে পারে। সেই জন্য সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আজ অর্থাৎ সোমবার ১০ তারিখ থেকে বিদ্যালয়গুলি খোলা হবে, সেই মতো বিদ্যালয়গুলি খুলেও গেছে।
কি চাইছেন অভিভাবকরা?
এত গরমে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা করতে ভীষণ কষ্ট হতে পারে, তার জন্য অনেক অভিভাবকরাই বলছেন, যে যাতে মর্নিং স্কুল করে দেওয়া হয়। আবার অনেকে বলছেন, অনলাইন ক্লাস করানোর জন্য। যদিও এতদিন ছুটি থাকার জন্য পড়ুয়াদের পড়াশোনার ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তা নিয়েও অভিভাবকরাও ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। নির্দিষ্ট দিনে গরমের ছুটির বদলে বাধ্য হয়েই তার আগে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে সূর্যের প্রচন্ড দাবদাহের জন্য। বিদ্যালয় খুলে যাওয়ার পরেও গরম কমার কোন সম্ভাবনাই নেই। তবে স্কুল ছুটি আবার পড়বে কি পড়বে না এই নিয়ে নতুন করে কোন সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।