ক্যান্সারের পর ধরা পরল টিউমার, ফের হাসপাতালে ভর্তি বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী
ক্লাস ইলেভেনে পড়েন তখন। ২০০৫ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি। সে দিনই ধরা পড়ে মেরুদণ্ডের ক্যান্সার। একদিন হঠাৎ পিঠের কাছে শক্ত হয়ে যায়। হাঁটতে কষ্ট হয়। বাবা ডাক্তার। তিনি তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করেন। জানতে পারে এই অভিনেত্রী নিজের অসুখের কথা। সতেরো বছরের পড়ুয়া তখন ভেঙে পড়েননি। চিকিৎসার ওপর ভরসা রেখেছে। এই মেয়ে আর কেউ না জনপ্রিয় ধারাবাহিক “জিয়নকাঠি” র জাহ্নবী। জাহ্নবী ওরফে ঐন্দ্রিলা বহরমপুরের মেয়ে। ক্লাস ইলেভেন থেকেই টেন্টস নামক ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হন, যা খুব বিরল। ধরা পড়ার পর তাঁকে নয়াদিল্লির এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৬টি কেমো আর ৩৩টি রেডিয়েশনের মাধ্যমে বছর দেড়েক লড়াই চলে। এর পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
ক্যান্সারকে হারিয়ে লড়াকু ঐন্দ্রিলা নিজের পড়াশোনার পাশাপাশি অভিনয় জগতে পা রাখেন। ঐন্দ্রিলা শুধুমাত্র অভিনয়ের জগতে ফিরেছেন তাই নয়, তিনি সমানভাবে নিজের পড়াশোনাটাও চালিয়ে গিয়েছেন সমানতালে। ইঞ্জিয়ারিং নিয়ে রীতিমতো পড়াশোনা করেছেন ঐন্দ্রিলা। ধারাবাহিকের পাশাপাশি ‘শেষ থেকে শুরু’ ছবিতে অভিনেতা জিতের বোনের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ঐন্দ্রিলাকে। এছাড়াও পরিচালক অমিত দাসের আসন্ন একটি ছবিতে রুপোলি পর্দায় দেখা যাবে অভিনেত্রীকে। বর্তমানে জিয়নকাঠিতে অভিনয় নিয়ে বেশ ব্যস্ত আছেন অভিনেত্রী।
এই ধারাবাহিকে অভিনয় করার সময় আরো এক কঠিন অসুখে অসুস্থ হয়ে পড়লেন অভিনেত্রী। সরস্বতী পুজোর আগের দিন জিয়ন কাঠি’র সেটে ঐন্দ্রিলার কাঁধে মারাত্মক যন্ত্রণা শুরু হয়। সেইদিন সেই ব্যথা নিনিয়ে শ্যুটিং করে অভিনেত্রী। তবে প্রচুর ব্যাথা হওয়াত বাধ্য হয়েই তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে আসেন তিনি। ঐন্দ্রিলার দিদি, একজন পেশায় নিজে চিকিৎসক তাঁর পরামর্শেই কিছু ওষুধ খান প্রথমে অভিনেত্রী তবে সেই ওষুধে কোনো ব্যথা কমেনি। এরপরই চিকিৎসার জন্য দিল্লি চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ঐন্দ্রিলা। বায়োপসির রিপোর্ট আসার পর জানা যাচ্ছে অভিনেত্রীর টিউমার হয়েছে।
বর্তমানে অভিনেত্রী দিল্লির এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। কাঁধে মারাত্মক যন্ত্রণার কারণ হল তাঁর ডানদিকের ফুসফুসের টিউমার হয়েছে। বায়োপসি সহ সবধরণের পরীক্ষা করা হয়েছে ঐন্দ্রিলার, বুধবার রিপোর্ট হাতে পাবেন অভিনেত্রী। বায়োপসি রিপোর্ট এলে এই টিউমারের অস্ত্রোপচার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এসবে অভিনেত্রী একেবারে ভেঙে পড়েনি৷ তিনি জানিয়েছেন, আগে তিনি যদি ক্যন্সারকে হারারে পেরেছেন ঠিক একই এই টিউমার থেকে সুস্থ হয়ে উঠবেন। নিজের ওপর অভিনেত্রীর আত্মবিশ্বাস আছে।